পাতা:শ্রীমদ্‌ভগবদ্‌গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায় । \. পক্ষাত্তরে ইছাও বলিতে পারা যায় না, যে এরূপ সকল স্মতই, অমুম্বন্ধান করিলে, এই বর্তমান জীবনমুলক বলিয়া প্রতিপন্ন হুইবে । বেশী অনুসন্ধান ন হইলে এ কথা স্থির করিয়া বলা যায় না । তেমন বেশী অকুসন্ধান অজিও হয় নাই। যতদিন না হয়, ততদিন এ প্রমাণ কতদূর গ্রাহ তাহ নিশ্চিত করিয়া বলা যায় না । অমুসন্ধানের ফল যাহা হউক, আর একটা তর্ক উঠিতে পারে। স্মৃতি মস্তিষ্কের ক্রিয়া, না আত্মার ক্রিয় ? যদি বল আত্মার ক্রিয়, তবে পুৰ্ব্বজন্মের সবিশেষ স্থতি আমাদের মনে উদয় হয় না কেন ? কেবল এক আধটুকু অস্পষ্ট স্থতি কথন কদাচিৎ মনে আসার কথা বল কেন ? আত্মা ত সেই অাছে, তবে তাহার স্মৃতি কোথায় গেল ? আর যদি বল স্মৃতি মস্তিষ্কের ক্রিয়া, তবে এই এক আধটুকু অস্পষ্ট স্থতিই বা উদিত হইতে পারে কি প্রকারে ? কেন না যে মস্তিক্ষে পুৰ্ব্বজন্মের স্থতি ছিল, সে মস্তিষ্ক ত দেহের সঙ্গে ধ্বংস পাইয়াছে—আর নাই । এ আপত্তির স্বমীমাংসা করা যায় । কিন্তু প্রয়োজন নাই । কেন না এই সকল স্মৃতি যে পূৰ্ব্বজন্মস্থতি ইহাই সিদ্ধ হইতেছে না । শেষ কথ। এই যে, যাহারা জীবাত্মার নিত্যতা স্বীকার করেন, তাহদের জন্মস্তির স্বীকার ভিন্ন গতি নাই । আম্ব। যদি নিত্য হয়, তবে অবশু পূৰ্ব্বে ছিল । কোথায় ছিল ? পরমাত্মার লীগ ছিল, এ কথা বলা যায় না । কেন না পরমাত্মায় বাহ লীন তাহা জীবাত্মা নহে, তাহার পৃথক অস্তিত্ব