পাতা:শ্রীমাধবেন্দ্রপুরী ও বল্লভাচার্য্য.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীমাধবেন্দ্রপুরী ও বল্লভাচাৰ্য্য। ৩৯ ৷৷ যাত্ৰা করিয়া ১৫৭৪ সংবতে পুরীধামে উপস্থিত হইলেন । পুরীতে শ্ৰীজগন্নাথদেবের চরণে প্রণতঃ হইয়া মহাপ্রভুকে বন্দনা করিতে চলিলেন। প্রভুও তাহাকে ভাগবত-বুদ্ধিতে আলিঙ্গন করিলেন ও সমাদরে নিকটে বসাইলেন। এই সময় উভয়েই কৃষ্ণবিষয়ক অনেক আলোচনা করিয়া বল্লভাচাৰ্য্য নিজ বাসস্থানে চলিয়া গেলেন। একদিন শ্ৰীমন্মহাপ্ৰভু ভক্তমণ্ডলীর সহিত বসিয়াছিলেন, এমন সময় বল্লভাচাৰ্য্য সেই স্থানে আসিয়া নিজকৃত শ্ৰীমদ্ভাগবতের সুবোধিনী নামক টীকা দেখাইলেন এবং তঁহাকে শ্রবণ করিতে অনুরোধ করি।-- লেন। মহাপ্ৰভু উত্তর দিলেন যে শ্ৰীধর স্বামীকৃত শ্ৰীমদ্ভাগবতের ২ যে টীকা আছে তাহার উপর আর টীকা হইতে পারে না ; ; শ্ৰীধর স্বামীর টীকাই সর্বোৎকৃষ্ট। বল্লভাচাৰ্য্য এই উত্তর শুনিয়া মহাপ্রভুকে গর্বভরে বলিলেন আমি ভাগবতে স্বামীর বাক্য খণ্ডন করিয়াছি। স্বামীজির বাক্যে সর্বত্র ঐক্য নাই এই হেতু তাহীকে মান্য করিতে পারি না । মহাপ্ৰভু হাসিয়া কহিলেন প্ৰভু হাসি কহে “স্বামী না মানে যেই জন। বেশ্যার ভিতরে তারে করিয়ে গণন ৷” শ্ৰীধর স্বামী বিষ্ণুস্বামী সম্প্রদায়ের আচাৰ্য ছিলেন। বল্লভ ভট্ট ও তৎসম্প্রদায়ের পরবর্তী আচাৰ্য্য এক সম্প্রদায়ের পূর্ববৰ্ত্তী । আচার্যের বাক্য খণ্ডন করা অতীব গৰ্হিত। মহাপ্রভুর এই শ্লেষ বাক্যের তাৎপৰ্য্য রহিয়াছে। যাহা হউক ভট্ট মহাশয়


Digitized at BRC in dia, ConTI