পাতা:শ্রীমাধবেন্দ্রপুরী ও বল্লভাচার্য্য.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীমাধবেন্দ্ৰপুরী ও বল্লভাচাৰ্য্য । 25 এই ভাবিয়া তিনি ১৬২৪ সংবতে বৈশাখের শুক্লা চতুর্থীর দিনে শ্ৰীগোপালকে পাল্টীতে করিয়া গোপালের সমন্দিরে লইয়া গেলেন। এক্ষণে বিঠলনাথজীর পুত্ৰগণ বাল্যভাবে সেবা করিতে এলাগিলেন । কিয়ৎকাল পরে একটি ইন্দারার মধ্যে পড়িয়া গিয়া কৃষ্ণদাসের অপমৃত্যু ঘটিয়াছিল। ইহার পরে ১৬২৯ সংবতে বিঠলনাথজী বরাবরের জন্য গোকুলে আসিয়া বাস করিতে লাগিলেন। অদ্যাপি ঐ স্থানকে নূতন গোকুল বলা হয়। গোকুলে বাস করা অবধি তাঁহাদের প্রভাব প্ৰতিপত্তি বৃদ্ধি পাইতে লাগিল, গুজরাট হইতে অনেক বড় বড় ধনিলোক আসিয়া এখানে বাস করিতে লাগিলেন । এই সময় পৰ্যন্ত বিঠলনাথজী যে সমস্ত গ্ৰন্থ রচনা করিয়াছিলেন তাহাতে জানা যায় যে শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্য মহা প্রভুর মতের সহিত তাহাদিগের মতের কোন প্ৰভেদ ছিল না । মনে হয় তাহারাই মহাপ্রভুর মতানুবৰ্ত্তী হইয়া কিশোরভাবে শ্ৰীশ্ৰী রাধাকৃষ্ণের উপাসনা করিতেন। অতঃপর বিঠলনাথের সাত পুত্ৰ ক্ৰমে ক্ৰমে পুষ্টিসম্প্রদায় স্থাপন করিলেন। বিঠলনাথজীর অন্যতম পুত্ৰ গোকুলনাথজী শ্ৰীবল্লাভের মতের বহু পরিবর্তন সাধন করেন। গোকুলনাথজীর শিস্যবর্গের অনেক হস্তলিখিত পুথি এক্ষণে গুজরাট দেশে বর্তমান রহিয়াছে। তৎসমুদায় পাঠে অবগত হওয়া যায় যে আজকাল পুষ্টিমার্গের যে ধারা চলিতেছে তাহা গোকুলনাথ মহারাজই স্থাপন করিয়াছেন। 8 - ... Digitized at BRCindia.corn