পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মমাণিক্য থওঁ । পরকাল চিন্তি রাজা চিত্ত শান্তাইল। (১) ভূমি দান করিবারে ব্রাহ্মণ আনিল । ধৰ্ম্মসাগর (২) নামেতে জলাশয় দিয়া । তার চারি পারে সব দ্বিজ বসাইয়া ॥ মহা বিষুবেতে (৩) দিল ভূমি উৎসৰ্গিয়া । কৌতুকাদি বাণেশ্বর ব্রাহ্মণ অৰ্চিয় ॥ কৌতুকাদি ব্রাহ্মণেতে করে ভূমি দান। তাম্র পত্রে লিখি দিল বচন প্রমাণ ॥ অথ শ্লোক । চন্দ্র বংশোদ্ভবঃ স্বীপ মহামাণিক্যজঃ সুধাঃ । ত্রহীমদ্ধৰ্ম্ম মাণিক্য ভূপশচন্দ্রকুলোদ্ভবঃ ॥ তথর পয়ার । চন্দ্র, বংশেতে মহামাণিক্য নৃপবর। তান পুত্ৰ শ্ৰীধৰ্ম্মমাণিক্য শশধর । শ্লোকঃ } শাকে শূন্তাষ্ট বিশ্বাদে বর্ষে সোম দিনে তিৰ্থে । ত্রয়োদশু{ং সিতেপক্ষে মেষে স্থৰ্য্যস্ত সংক্রমে ॥ তথার পয়ার । তের শত আশী শকে সোমবার দিনে । শুক্ল পক্ষ ত্রয়োদশী মেষ সংক্রমণে ॥ (১) শাস্তাইল—শাস্ত করিল। (২) কুমিল্লা সহরের বক্ষঃস্থলে, সুনীল ও স্বচ্ছ বারিবিশিষ্ট ষে বিশাল সরোবর শ্ৰীকৃষ্ণের বক্ষঃস্থিত কৌস্তুভ মণির দ্যায় শোভা পাইতেছে, তাহাই মহারাজ ধৰ্ম্মমাণিক্যের সমুজ্জল কীৰ্ত্তি ‘ধৰ্ম্মসাগর’ । ইহার পূৰ্ব্বতীরে কুমিল্লার জেলাস্কুল প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। কৈলারগড়ে (কসবায় ) আর একটা ধৰ্ম্মসাগর আছে, তাহাও এই মহাপুরুষের কীৰ্ত্তি । (৩) মহাবিষুব—স্বৰ্য্য মীন রাশি হইতে যে সময় মেষ রাশিতে সংক্রান্ত হয়, সেই সংক্রাস্তিকে মহাবিষুব বা মেষ সংক্রান্তি বলে। এই সময় নিবারাত্রি সমান বলিয়া ইহার নাম মহাবিষুব। ইহার অপর নাম চৈত্র সংক্রাস্তি। এই সংক্রমণ দিন অতিশয় পুণ্যাহ বলিয়া গণ্য । এই দিনে শক্ত (ঘবের ছাতু) ও বারিপূর্ণ ঘট দান করিলে পরমাগতি লাভ হয় ; যথা :– এই দিন পিতৃলোকের উদ্দেশ্রে জলপূর্ণ ঘট এবং ছত্র ও পাছকাদি দান বিশেষ পুণ্যজনক । “এষ ধৰ্ম্ম ঘটেদিত্তে ব্ৰহ্ম বিষ্ণু শিবাত্মক: । অস্ত্য প্রদানাৎ সফল মম সন্তু মনোরথাঃ ॥ বৈশাখে যে ঘটং পূর্ণং সভোজ্যং বৈ দ্বিজন্মনে । দদাতি সুররাজেন্দ্ৰ ! স যাতি পরমং গতিম ৷” ( তিথিতত্ত্ব । )