পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লহর } ধন্তমণি খণ্ড । রাম কবি স্বজিলেক সেই ত নৃপতি । (১) শ্ৰীধ্য মাণিক্য রাজার তাতে হৈল প্রীতি ॥ নানা স্থানে কমলা যে দর্থিক দিয়াছে। (২) পুণ্য হেতু পুঙ্কণীতে তৃণ না জন্মিছে ৷ দেব গুরু দ্বিজে ভক্তি সুচরিত্র অতি । বিষ্ণুর কমল হেন, শিবের পাৰ্ব্বতী ॥ অনেক করিল ধৰ্ম্ম শুন মহারাজ । বিস্তারি কহিলে পুনঃ হইবেক ব্যাজ ॥ শ্ৰীধ্য মাণিক্য রাজ হৈয় নরপতি । ৎসরেক হেন মতে পালিলেক ক্ষিতি | সেনাপতি সকলের অনুমতি বিনে । কিছু কৰ্ম্ম নৃপতি না করে কোন দিনে ॥ এই মতে রাজ কাৰ্য্য চলিল তখন । পুরোহিতে নৃপতিয়ে মন্ত্রণ রচন ॥ দশ সেনাপতি স্থানে সৈত বহুতর । রাজ সৈন্য মধ্যে আমি বিপ্ৰ একেশ্বর ॥ (৩) সহস্ৰেক সৈন্য পঞ্চ সহস্ৰ পাইছে । (৪) সেনাপতি সবে সৈন্য বাটিয়া লইছে । বঙ্গভাষায় প্রেতি চতুদশা গান প্রচলিত ছিল বলিয়া রাজমালার কথায় বুঝা যায়। মহারাজ এই গীত বুঝিতে ন পারায় সুভাষায় পুনৰ্ব্বার বচন করাইয়াছিলেন । এই ‘মুভাষা’ শব্দদ্বারা ংস্কৃত ভাষাকে লক্ষ্য করা হইয়াছে কি না, তুঙ্গ স্পষ্ট বুঝা যায় না। (১) পাঠান্তর —“রাম কবি স্বজিলেক সেই নৃত্য গীত । ঐধন্ত মাণিক্য রাজাব হইলেক প্রী ত ।” এই বাক্যদ্বারা জানা যায়, উপরিউক্ত প্রে ত চতুর্দশীর গীত রাম কবির রচিত। এই কবির পরিচয় বা র্তাহার রচিত গান বর্তমানকালে পাইবার উপায় নাই । সম্ভবতঃ ইহা প্রে ত ভয় নিবারক রামায়ণ হইবে। (২) কসবার সন্নিতি ত ‘কমলাসাগর দীঘি মহারাণী কমলা দেবীর সমুজ্জল কীৰ্ত্তি । এই দীর্ঘিকার জল এত উৎকৃষ্ট যে, তাই পান করিলে রোগমুক্ত হওয়া যায়, সাধারণ লোকের ইহাই বিশ্বাস। আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের ‘কমলাসাগর’ ষ্টেসন এই সরোবরের সন্নিহিত স্থানে অবস্থিত, এবং উক্ত সরোবরের নামানুসারে ষ্টেসনের নামকরণ হইয়াছে। এতদ্ব্যতীত উদয়পুরে আর একটী কমলাসাগর’ আছে । (৩) পাঠান্তর—“দশ সেনাপতি ঘরে হসম বিস্তর। রাজ সৈন্ত আমি মাত্র হইছি একেশ্বর ।” প্রাচীনকালে ত্রিপুররাজ্যে সৈন্তকে ‘হুসম' বলা হইত। বর্তমানকালেও এই রাজ্যে হসন্ম ভোজনের প্রথা প্রচলিত আছে, তদ্বিবরণ এই লহরের টীকায় দ্রষ্টব্য। (৪) পাঠান্তর—“কেহ সহস্ৰ কেহ পঞ্চ সহস্ৰ পাইছে।’