পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজমালা । { দ্বিতীয় * ولا جة পরে রাজা রহে গিয়া ছন গাঙ্গ উপর। অীর যত সেনাগণ রহে থরে থর ॥ ছন গাঙ্গ তৈকাতনি দেবদ্বার নাম । তার কত বাক উজান মাছি ছড়া ধাম ॥ হৈজম খাঁ সঙ্গে ছিল যত শিল্পকর } নিৰ্ম্মাইছে গড় পরে দেব বহু তর ॥ গড় দেখিবার তয়ে চলিল ভূপতি । উচ্চ স্থানে থাকি গড় দেখিল নৃপতি ॥ ভাটি বাকে (১) গোঁড় সৈন্তে বান্ধিয়াছে গড় । তাহার উজানে গড় ত্রিপুরার তৎপর ॥ বসিলেক নরপতি বৃক্ষ ছায়া তলে । ডাইন (২) সব ডাকি আনি রাজা তাকে বলে ॥ আমার প্রজা খাও তোরা ডাইন সব লোক । এখন না খাও কেন হৈতন থা সম্মুখ ॥ (৩) নৃপতির বাক্য শুনি বলাগমা যুবতী । নমস্কার করি কহে শুন হে ভূপতি ॥ সেই ত তুজুক দাবি দেশেতে প্রচার। ঐy.দৰ মাণিক্য তারে করিল বিস্তার ॥” পৰ্ব্বতে একপ্রকার লতা জন্মে তাহার রস অত্যন্ত বিষাক্ত । সেই লতা থেতলাইয়া নদীতে সিক্ষেপ করিলে নদীর জল বিষাক্ত হয় । পাৰ্ব্বত্য প্রজাগণ বৰ্ত্তমান কালেও এই প্রণালী অবলম্বনে মৎস্ত মামিয়া থাকে। এই লতা ফেলিয়া নদীর জল বিষাক্ত করায়, মুসলমানগণ নদীর জল পান করে নাই, জল পানের নিমিত্ত নুতন পুষ্করিণী খণন করিয়াছিল। মুসলমানের খনিত বলিয়া জলাশয়ের নাম ‘তুড়ক দাধি হইয়াছে। নকলকারীর ক্রট বশতঃ তুড়ক দীঘী স্থলে ‘ড়োক দার্থী’ লিখিত হইয়াছে। পরবর্তী কালে দেব মাণিক্য কর্তৃক এই সরোবরের আয়তন বুদ্ধ হইয়াছিল। বিষ লতার উৎপত্তি বিষয়ে কৃষ্ণমালা গ্রন্থে লিখিত আখ্যাধিক পরবর্তী । টীকায় প্রদত্ত হইল । ķå. (১) ভাটিবাক—নদীর সিমভাগস্থ বক্র স্থান । (২) ডাইন—ডাকিনী । পাৰ্ব্ব ৩্য জাতির বিশ্বাস, কোন কোন পুরুষ বা স্ত্রী লোক দৈবশক্তি দ্বারা লোকের ইষ্টলিষ্ট সাধন করিতে পারে এবং ইহারা অকারণে বা সামান্ত কারণে লোকদিগকে মন্ত্র বলে বধ করে। ইহারা স্থানীয় ভাষায় ‘ডাইন’ নামে অভিহিত । লোকে ইহাদিগকে ভয় করে এবং এই ভ্রাস্ত বিশ্বাসমূলে সুযোগ পাইলে তাহাদিগকে বধ করিতেও কুষ্ঠিত হয় না। (৩) তোমরা আমার প্রজাদিগকে ভক্ষণ কর, এখন হৈতন খ সম্মুখে আছে, তাহাকে খা ও না কেন ? §