পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

गझ्त्र ] দেবমাণিক্য খণ্ড । S@ বীর ভাবী (১) হৈল রাজা তাহার পশ্চাৎ । চক্রেতে (২) আরম্ভ করে অধৰ্ম্ম সাক্ষাৎ ॥ শ্মশান সাধন (৩) কার্য্যে রাজাকে বৈসায় । সেই কালে বাস্থয়াকে (৪) ব্রাহ্মণে শিখায় ॥ বৃক্ষে উঠি বাস্থয়ায় ডাকি তাকে কহে । সেনাপতি বলি দেহ দেখা হবে তাহে ॥ আর দিন রাত্রে রাজা সেনাপতি নিয়া । বলিদান করে রাজা শ্মশানেতে গিয়া ॥ আর দিন মহারাজ বসিল শ্মশানে । আর সেনাপতি চাহে নৃপতির স্থানে ॥ আষ্ট জন সেনাপতি ক্রমে বলি দিল । তথাপিহ মহারাজা দেবী না দেখিল ৷ কৃষ্ণ বর্ণ হৈল রাজা সেনাপতি বধি । এক জন বলিলেক নৃপতি সম্বোধি ॥ স্নান কালে স্নান ঘরে (৫) নৃপেতে কহিল। তোমা শত্ৰ মঘ পাঠান আনন্দ হইল ॥ পৈতৃক সেনাধিপতি তুমি সে বধিলা । রাজধানী স্থান তুমি বীর শূন্য কৈলা ॥ (১) বীরভাব—তান্ত্রিক ভাব বিশেষ, দিব্যভাব’ শীর্ষক টীকায় বীরভাবের বিষয় বর্ণিত হইয়াছে। যে তিন ভাবে তান্ত্রিক সাধন হয়, তাহ পুনৰ্ব্বার এস্থলে প্রদান করা যাইতেছে ;– “ভাবস্তু ত্ৰিবিধ: প্রোক্তণ দিব্য বীর পশুক্ৰমাৎ । গুরবস্তু ত্রিধ চাত্র তত্রৈব মন্ত্র দেবতা ৷” রুদ্রযামল—১১শ পটল । (২) চক্র—তন্ত্রোক্ত ভৈরবী প্রভৃতি চক্র । তন্ত্র শাস্ত্রে ভৈরবী চক্রকে তত্ত্বচক্র বল হইয়াছে। এতদ্ব্যতীত রুদ্রযামলে মহাচক্র, রাজচক্র, দিব্যচক্র, বীরচক্র ও পশুচক্র এই পাচ প্রকার চক্রের কথা উল্লেখ আছে । চক্র সম্বন্ধীয় বিশেষ বিবরণ তন্ত্রশাস্ত্রে দ্রষ্টব্য। (৩) শ্মশান সাধন—তান্ত্রিকগণ শ্মশানে উপবিষ্ট হইয়া, স্বীয় ইষ্টদেবতার সাধন করিবার ব্যবস্থা তন্ত্র শাস্ত্রে আছে । 始 *} (৪) বাসুয়া—ব্রাহ্মণদিগের গোলাম সম্প্রদায়ভুক্ত এক শ্রেণীর শূদ্র আছে, ত্রিপুর অঞ্চলে তাহাদিগকে ‘বাসুয়া’ বলে । ত্রিপুরার প্রাচীন রাজধানী উদয়পুরে, বাসুয়া পাড়া’ নামে একটা গ্রাম আছে ; তথায় এই শ্রেণীর অনেক শূদ্রের বসতি ছিল। (৫) রাজার নিকট গুপ্ত কথা বলিবার নিমিত্ত স্নানঘরই সুবিধাজনক স্থান। এরূপ নির্জন স্থান আর নাই। স্নান কার্য্যের নির্দিষ্ট ভূত্য ব্যতীত অন্ত লোকের তথায় প্রবেশাধিকার, নাই ।