পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজয়মাণিক্য খণ্ড । পরে দৈত্য নারায়ণ হিরাপুরে গেল। সসৈন্যে গিয়া বিজয় দেবকে অনিল ॥ শুভক্ষণে বিজয় দেব বৈসায়ে সিংহাসনে । প্রণাম করিল সবে যত সৈন্যগণে ॥ বিজয় মাণিক্য নাম হইল নরপতি । তাহান মহাদেবী (১) নাম ছিল পুণ্যবতী ॥ ত্রিপুর কুলেতে সে যে শুভজন্ম কন্যা । পুণ্যবতী নামে হৈল পৃথিবীতে ধন্য। হোমনাবাদে দ্বিজে দিল বহুতর গ্রাম । তিষিণাতে দিল গ্রাম ব্রাহ্মণ অনুপাম ॥ তাম্রপত্রে লিখি দিল পুণ্যবতী নামে । পুণ্যবতী মতী সতী শ্লোকে অনুক্ৰমে ॥ বিধিমতে ভূমি কত উৎসর্গিয়া দিল । যেন মত নাম দেবী তেন ধৰ্ম্ম কৈল ॥ দৈত্য নারায়ণ সেনাপতি অতি পুণ্যবান। জগন্নাথ স্থাপে মঠ করিয়া নিৰ্ম্মাণ ॥ শুভক্ষণে মঠ দিল দেবে উৎসর্গিয়া । উৎকল হৈতে জগন্নাথ ব্রহ্ম স্পৰ্শাইয়া ॥ জগন্নাথ বলভদ্র সুভদ্ৰা আনিল । বার মাসে বার যাত্রা ক্রমে আরম্ভিল ॥ বহুতর ভক্তি করি পূজন করিল। বহু ভাগ্য সেনাপতির পূর্ব জন্মে ছিল। সেই দেব নৃপতিয়ে সেবা করে গিয়া । সন্ধ্যাকালে জগন্নাথ আইসে প্ৰণমিয়া ॥ কত দিনে সেই মঠ ভূমি কম্পে ফাটে। হইল অনিষ্ট এক দেবের কপটে ॥ (১) ত্রিপুর রাজ্যে রাজমহিষীগণ ‘মহাদেবী’ ও ‘ঈশ্বরী’ আখ্যায় অভিহিত হইয়া থাকেন। সাধারণ ভাষায় তাহাদিগকে ‘মাইদেবতা’ বলা হয়। বেহারের ইতিবৃত্ত ‘রাজাবলী’ গ্রন্থে, রাণীদের ‘আইদেবতী’ উপাধির উল্লেখ পাওয়া যায় । \b