পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

§ 3 রাজমালা । দ্বিতীয় খাসিয়ার রাজা আইসে আপনে মিলিয়া । ত্রিপুর রাজাতে মিলে বহু আশ্বাসিয়া ॥ পঞ্চ হস্তী দশ ঘোড়া তাকে দিল নৃপে । সবৎস! হস্তিনী চাহে খাসিয়ার ভূপে ॥ বিজয় মাণিক্য রাজা হস্তী ইনাম দিল । হস্তিনী পাইয়া রাজা জয়ন্ত্যা দেশে গেল ॥ নিজ দেশে গিয়া রাজা কহে উচ্চ স্বরে । হস্তী ভেট দিছে আমা ত্রিপুর ঈশ্বরে ॥ সবৎস হস্তী ঘোটক আমি সে পাইল । জয়ন্ত্য রাজয়ে বার্তা দেশেতে কহিল ॥ ভিক্ষুক ব্রাহ্মণ শুনি আসে জয়ন্ত্যা হলে (১)। সে সবে শুনিয়া কহে ত্রিপুরের স্থানে ॥ এ কথা শুনিয়া রাজা বহু ক্রুদ্ধ হৈল। হাড়ি সৈন্য (২) জয়ন্ত্যাতে যুদ্ধে আজ্ঞা দিল ॥ রাজার রাজ্যেতে আছে যত হাড়িগণ । চট্টলে সুবর্ণ গ্রামে শ্রীহট্টে যত জন ॥ দ্বাদশ হাজার হাড়ি তালিক করিল। যার যেই রাজ্যের হাড়ি সেনাপতি হইল ॥ দ্বাদশ হাজার হাড়ি হাতে কোদাল লৈয়া । হাড়িয়ে ডগর বাদ্য চলে বাজাইয়া ॥ চারি মাস হাড়ি সৈন্য পাইয়া বেতন । মদ্য শূকর খাইয়া চলিলেক রণ ॥ ঘুর ঘুরি শব্দ করি ডগর বাজায়। সাজনি সাজিয়া সব হাড়ি সৈন্য যায় ॥ উত্তরের হাড়ি চলে আগে লৈয়া বানা (৩) । বঙ্গ দেশী হাড়ি সব মধ্যে থাকে থানা ॥ (२) श्यन-श्श्रङ । (২) হাড়ি-হীনজাতি বিশেষ । ইহাদের মধ্যে সম্প্রদায় বিভাগ আছে। মলমূত্র পরিষ্কার, শূকর পোষণ, বাদ্যবাদন, পান্ধীবহন ও তাড়ি প্রস্তুত করণ ইত্যাদি কাৰ্য্য সম্প্রদায় বিভেদে করিয়া থাকে । চৌকিদারী করাও ইহাদের একটি কার্য । (৩) বানা-পতাকা ।