পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

♚ ३ রাজমালী । { দ্বিতীয় শ্রেণী ক্রমে কহ তুমি সে সব কথন। যে মতে শাসিল রাজ্য প্রজার পালন ॥” রাজাবাবুর বাড়ীতে ৫ রক্ষিত রাজমালায় এ বিষয় আরও বিশদভাবে বর্ণিত আছে । তাহা এই ;– “অমরমাণিক্য নাম নৃপতি আছিল। ত্রিপুর বংশের কথা তৎপর গুনিল । ঐধৰ্ম্মমাণিক্য ছিল ত্রিপুর সন্ততি । রাজবংশ বিস্তারিছে রাজমালা পুথি ॥ + পুস্তক লিখাইছে তিনি পূর্ব রাজার কথা । তার পরে রাজা সব না হইছে গাথা ॥ অমরমাণিক্য রাজ স্থির করি মন । জিজ্ঞাসা উচিত রণচতুর নারায়ণ ॥ একশত পঞ্চ বর্ষ বয়স উহার। স্থির মতি গুণবন্ত ধৈর্য্যত অপার ॥ শুন শুন বলি রণচতুর নারায়ণ । রাজবংশ কথা কিছু কহত আপন ॥ বয়সে বিশিষ্ট বট ত্রিপুর সন্ততি । তুমি জান ভাল পূৰ্ব্ব রাজগণ রীতি। শ্ৰীধৰ্ম্মমাণিক্যাবধি যত রাজা হৈল । ষেরূপে সে রাজা সবে প্রজাকে পালিল । কোন রাজা কিবা কৰ্ম্ম করিল তখন । কহত সে সব কথা শুনিব এখন ॥ নৃপতির বচনে কহেস্ত সেনাপতি । পূর্বের প্রসঙ্গ বলি শুন মহামতি । শ্ৰীধৰ্ম্মমাণিক্যাবধি যত রাজা হৈল । অনুক্রমে সেনাপতি সকল কহিল ॥” সেনাপতি বিবরণ কহিলেন, এ কথা পাওয়া যাইতেছে । কিন্তু এই লহরের রচয়িত কে, তাহ পাওয়া যায় না । সেনাপতি স্বয়ং রচনা করিয়াছিলেন, রাজমালার উক্তি দ্বারা এরূপ বুঝা যায় না। শতাধিক বৎসর বয়স্ক স্থবির, সৈনিক বিভাগের কৰ্ম্মচারী দ্বারা গ্রন্থ রচিত হওয়া সম্ভাব্যও নহে । রণচতুরের বর্ণনানুসারে নিশ্চয়ই কোন সভাপণ্ডিত কর্তৃক রাজমালার এই অংশ রচিত হইয়াছিল, সেই পণ্ডিতের নামোদ্ধারে অকৃতকাৰ্য্য হেতু নিতান্তই দুঃখিত আছি।

  • এই বাড়ীর রাজা ভৃগুরাম রায় ও রাজ মুকুন্দরাম রায় অল্পকাল পূৰ্ব্বে পরলোক গমন করিয়াছেন । র্তাহীদের বংশধরগণ বিদ্যমান আছেন । ইহার মহারাজ কল্যাণমাণিক্যের বংশসম্ভূত। ইহাদের এক শাখা ঢাকায় রাজার দেউড়ীতে বাস করিতেছেন।

ইহা মহারাজ ধৰ্ম্মমাণিক্যের শাসনকালে বিরচিত রাজমালার প্রথম লহর ।