পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\; \} রাজমালা । [ দ্বিতীয় প্রভৃতি সকল শ্রেণীর লোকেরই রাজমালার এই অংশ প্রীতিপ্রদ হইবে বলিয়া আমাদের বিশ্বাস । পূর্বেই বলা হইয়াছে, রাজমালার দ্বিতীয় লহর ষোড়শ শতাব্দীর রচিত। এই সময় বঙ্গভাষা ও সাহিত্যের ক্রমোথানের যুগ আসিয়াছিল। এই লহর রচনার সমকালে এবং তাহার অল্পকাল পূর্বে ও পরে যে সকল খ্যাতনামা ধৰ্ম্মানুরাগী অসাধারণ ব্যক্তি সাহিত্য সেবায় আত্মনিয়োগ করিয়াছিলেন, তন্মধ্যে প্রাতঃস্মরণীয় গোবিন্দদাস, জ্ঞানদাস, ও যদুনন্দনদাস প্রভৃতি পদকৰ্ত্তাগণের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । বৃন্দাবনদাসের চৈতন্য ভাগবত, লোচনদাসের চৈতন্য মঙ্গল, কবিরাজ গোস্বামীর চৈতন্যচরিতামৃত, যদুনন্দনদাসের কৃষ্ণকণামৃত, দ্বিজবংশীবদন প্রভৃতির মনসামঙ্গল, কবিকঙ্কণ ও মাধবাচাৰ্য্য প্রভৃতির চণ্ডীকাব্য, কাশীরামদাসের মহাভারত ইত্যাদি গ্রন্থ এই যুগের সমুজ্জ্বল রত্ব। এতদ্ব্যতীত এই সময় মাণিক গাঙ্গুলী, দ্বিজ হরিরাম প্রভূতি বহুসংখ্যক কৃতীব্যক্তি বঙ্গ সাহিত্য ভাণ্ডারে যে অতুল সম্পদ দান করিয়া গিয়াছেন, তাহার তুলনা নাই । তদানীন্তন কাল-স্রোত যে বঙ্গ সাহিত্যের বিশেষ অনুকুল ছিল, তাহা বলাই বাহুল্য। এই অনুকূল স্রোতের সাহায্যে রাজমালার দ্বিতীয় লহর রচিত হইয়াছে । পারিবারিক কথা । রাজমালায় পারিবারিক কথা খুব কমই পাওয়া যায়। দ্বিতীয় লহরে এতদ্বিষয়ক যে সকল বিবরণ সন্নিবিষ্ট হইয়াছে, তাহার স্থূল মৰ্ম্ম নিক্ষে প্রদান করা হইল । বৈবাহিক বিবরণ। এই লহর সংস্থষ্ট মহারাজ ধৰ্ম্মমাণিক্য ও প্রতাপমাণিক্য কোথায় বিবাহ রাজগণের বিবাহ করিয়াছিলেন, কোন গ্রস্থেই সে কথার উল্লেখ নাই ; বৰ্ত্তমান কালে "*" তাহ নির্ণয় করিবারও উপায় নাই। প্রতাপের ভ্রাতা মহারাজ ধন্যমাণিক্য প্রধান সেনাপতি দৈত্যনারায়ণের কন্যার পাণিগ্রহণ করিয়াছিলেন, র্তাহার নাম কমলা মহাদেবী। একথা রাজমালায়ই পাওয়া যায় ;– “বড় সেনাপতি দিল আপনার কস্তা । মহারাণী কমল নাম পৃথিবীতে ধন্য ।” ধন্তমাণিক্য থও—৮ পূঃ ।