পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লহর } মধ্য-মণি । ኬፃት ( দ্বিতীয় খণ্ডে উৎকীর্ণ শ্লেক । ) “তৎপুত্রে ধৰ্ম্মচেতাঃ ক্ষিতিপতিতিলকঃ কান্তদাস্তে বাস্ত: ঐক্রমান সত্যবাদী নিখিলগুণযুতে রামমাণিক্য দেবঃ । চক্রে প্রাসাদরাজং বিটপিবিঞ্জলিতং বীর ধীরে মনোজং পূৰ্ব্বস্বাদৰিকায়ৈ বিবিধ রুচিচয়ং ধম্ভমাণিক্য দত্তং । বীর খ্ৰীযুত রামদেব নৃপতির্বিপ্রোইজ ভামুঃ কৃতিঃ কালীপাদসরোজলুব্ধমধুপঃ পৃথ্বীপতীনাং বরং । বাতোদঘাতবিভিন্ন দেবলদলং চক্ৰে মনোজ্ঞং বরং খাকে নেত্রবিয়দ্রসেন্দুমিলিতে পীঠে ভবান্তাঃ পুনঃ ॥ শকাব্দ। ১৬৯৩* (প্রথম খণ্ডের অনুবাদ ।) “পূর্বকালে সমগ্র গুণসম্পন্ন ধৰ্ম্মমাণিক্য নামে এক নরপতি ছিলেন। তিনি দানে কর্ণ তুল্য ছিলেন, তাহার যাগে স্বর্গাধিপতি পৃথিবীতে আসিয়াছিলেন। তিনি ১৪২৩ শকাব্দে গগনভেদী এই প্রাসাদ দেবগণ সেবিতা লোক-জননী অম্বিকাকে দান করেন। তাহার পর, ত্রিপুরাধীশ্বর মহারাজ কল্যাণদেব প্রবল রিপুগণ পীড়িত পৃথিবীকে একমাত্র নিজ শক্তি দ্বারা শাসন করিয়াছিলেন। তাহার পুত্র বীরশ্ৰেষ্ঠ, ধীর প্রকৃতি গোবিন্দদেব রাজাদিগের মধ্যে প্রধান ছিলেন। তাহার দানে ব্রাহ্মণ রমণীগণ স্বর্ণময় হইয়াছিলেন । তিনি সাম্বরাজ্যে বিরাজ করিয়াছিলেন।” + (দ্বিতীয় খণ্ডের অনুবাদ। ) “র্তাহার পুত্র মহারাজ রামমাণিক্য ধাৰ্ম্মিক, সত্যবাদী, নিখিল-গুণসম্পন্ন, কমনীয় মূৰ্ত্তি, জিতেন্দ্রিয় এবং বদান্ত ছিলেন। মহারাজ ধন্যমাণিক্য অম্বিকার উদ্দেশ্যে যে মন্দির দান করিয়াছিলেন, তাহার উপরে বৃক্ষাদি জন্মিয় ফাটিয়া গিয়াছিল, বীরবর ও ধীর প্রকৃতি মহারাজ রামদেব ঐ মন্দির মনোজ্ঞ করেন। দ্বিজ পঙ্কজ সেবিতা কালীপদ-পদ্মলুব্ধ-মধূপ ভূপতি শ্ৰীযুত রামমাণিক্য ১৬০৩ শকে বাতাঘাত ৰিদারিত দেবমন্দির মনোজ্ঞ করেন । শকাবদ ১৬০৩ ” উক্ত লিপিদ্বয় আলোচনায় জানা যায়, ১৪২৩ শকে মহারাজ ধষ্ঠমাণিক্য কর্তৃক মন্দির নিৰ্ম্মিত হইবার পর, ১৬৭৩ শকে মহারাজ রামমাণিক্য কর্তৃক তাহার সংস্কার হইয়াছিল । মন্দির নিৰ্ম্মাণের কিঞ্চিলুন দুই শতাব্দী পরে এই সংস্কার কাৰ্য্য সম্পন্ন হইয়াছে। ইহার পূর্বে আরও দুইবার মন্দিরট সংস্কৃত হইবার প্রমাণ পাওয়া যাইতেছে, কিন্তু উদ্ধৃত শিলালিপিদ্বয়ে তদ্বিষয়ক কোন কথার উল্লেখ নাই । • এই অম্বুবাদ, পণ্ডিত ঐযুক্ত চন্দ্রোদয় বিস্তাবিনোদ মহাশয় কর্তৃক সম্পাদিত শিলালিপি । লংগ্রহ পুস্তিকা হইতে গ্রহণ করা হইল ।