পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

?Ꮡ রাজমালা । [ দ্বিতীর রামমাণিক্যের সময় ও র্তাহার পূর্ববর্তী কালের সংস্কার বিবরণ নিম্নে প্রদান করা যাইতেছে। মন্দিরের উত্তর পর্শ্বে একখণ্ড শিলালিপি সংযোজিত থাকিবার কথা পূর্বে বলা হইয়াছে, ইহা বঙ্গভাষায় লিখিত। এই প্রস্তর ফলকের ভাষা নিতান্ত অসম্পূর্ণও অস্পষ্ট ; এবং মধ্যে মধ্যে অক্ষর বিনষ্ট হইয়াছে। ঐযুক্ত বিস্তাবিনোদ মহাশয় বিলুপ্ত অক্ষরগুলি যথাশক্তি উদ্ধার ও তাহা বন্ধনীর অভ্যন্তরে সন্নিবেশ করিয়া নিম্নলিখিতরূপ পাঠ নিৰ্দ্ধারণ করিয়াছেন। এ স্থলে অঙ্কিত শকাঙ্ক বিশুদ্ধ নহে। ১৪২৩ শকে নিৰ্ম্মিত মন্দিরের গাত্রে ৰলিভীম নারায়ণ । ১৬৩ শকের শিলালিপি সংযোজিত হওয়া নিতান্তই অসম্ভব। এই প্রস্তরফলকে বলিভীম নারায়ণের নামোল্লেখ আছে। ইনি মহারাজ রামমাণিক্যের শ্বালক এবং তাহার সমসাময়িক লোক। রামমাণিক্য ইহাকে যুবরাজ উপাধি প্রদানদ্বারা শ্বালক-প্রীতির পরাকাষ্ঠী প্রদর্শন করিয়াছিলেন । এই সময় বলিভীমের প্রভাব যে অত্যন্ত বৃদ্ধি পাইয়াছিল, যুবরাজ উপাধিই ইহার জাজ্জ্বল্যমান প্রমাণ। রামমাণিক্যের শাসনকাল ১৫৯২ হইতে ১৬০৪ শক পর্য্যন্ত । র্তাহার অনুজ্ঞায়, বলিভীমের তত্ত্বাবধানে মন্দিরের সংস্কার কার্য্য সম্পন্ন হইয়াছিল, এবং তাহার নিদর্শন স্বরূপ এই শিল-পট্ট সংযোজিত হইয়াছে, ইহাই বুঝা যায়। শিলালিপিতে অঙ্কিত ‘১৬ ৩ স্থলে “১৬০৩” হইবে, এরূপ নিৰ্দ্ধারণ করা সঙ্গত বলিয়া মনে হয় । উপরিউক্ত অঙ্ক নিৰ্দ্ধারণ অযথা করা হইতেছে না। সেকালে একাধিক -- ma, অঙ্কের মধ্যবৰ্ত্তী () শূন্ত না লিখিয়া তৎস্থলে ফাক রাখিবার প্রাচীন এণালী। দৃষ্টান্ত বিরল নহে। আগরতলা উজীর বাড়ীর গ্রন্থাগারে ত্রিপুরেশ্বরগণের শাসনকাল নির্দেশক একখানা অতি জীর্ণ কাগজ আছে। তাহাতে *১৫০২’ স্থলে ‘১৫ ২’—“১৬০৭’ স্থলে ‘১৬ ৭’—‘১৭০৫’ স্থলে ‘১৭ ৫’ লিখিত আছে। প্রথম লহরের পূর্বভাষে ইহার বিবরণ পাওয়া যাইবে। ত্রিপুর রাজ্যের ভূতপূর্ব সার্ভে সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট পরলোকগত চন্দ্রকান্ত বস্ব মহাশয় ধৰ্ম্মনগর হইতে একখান প্রাচীন ইষ্টক সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন, তাহাতেও শকাঙ্কের মধ্যবৰ্ত্তী () শূন্ত লিখিত নাই, শূন্যের স্থলে কিঞ্চিৎ ফাক রাখা হইয়াছে মাত্র। কাছাড় জেলার অন্তর্গত