লহয় ] মধ্য-মণি । У e & স্বীয় সৈনিক বিভাগের একসহস্র বিদ্রোহী পাঠান অশ্বারোহী সহ বিস্তর পাঠান সৈন্ত চতুর্দশ দেবতার সমক্ষে বলিদান করিয়াছিলেন। ৫ এবং গৌড়ের পরাজিত পাঠান সেনাপতি মমরিক খা লৌহপিঞ্জরে আবদ্ধাবস্থায় রাজদরবারে নীত হইলে, তাহাকেও চতুর্দশ দেবতার সদনে বলি দেওয়া হইয়াছিল। বিজিত শক্র ধরা পড়িলেই তাহার উত্তপ্ত শোণিতে চতুর্দশ দেবতার এবং ত্রিপুরাসুন্দরীর মন্দির-প্রাঙ্গণ রঞ্জিত হইত। শাস্ত্রে শত্র বলির বিধান আছে, তাহা জীবন্ত শক্র নহে ; ক্ষীরদ্বারা নিৰ্ম্মিত পুত্তলিকার প্রাণপ্রতিষ্ঠা করিয়া সেই পুতুলকে বলি প্রদান করা হয়। ন ত্রিপুরেশ্বরগণ জীবন্ত শত্র বলিদ্বারা শাস্ত্রের মর্য্যাদা রক্ষা করিয়াছেন । সমরক্ষেত্রে ধৃত প্রবল পরাক্রান্ত শক্র হস্তগত থাকা অবস্থায় ক্ষীরের পুতুল ছেদন করিয়া শত্র বলির ক্ষোভ মিটাইবেন কেন ? শব বিদ্যমান থাকা অবস্থায় কেহ কুশ-পুত্তল দহের ব্যবস্থা করে না । ত্রিপুর রাজ্যে নরবলির সীম সংখ্যা ছিল না । মহারাজ ধন্যমাণিক্য তাহার সংখ্যা এan, an নিৰ্দ্ধারণ করিয়া, লোকসমাজের বিস্তর হিত সাধন করিয়াছেন। নিদ্ধারণ । এতৎ, সম্বন্ধে রাজমালায় পাওয়া যায় ;— শক্ৰ ৰলি । “পুৰ্ব্বেতে ত্রিপুর রাজা নরবলি দিত। সহস্ৰে সহস্ৰে বঙ্গ বর্ষে কাটা যাইত ॥ ঐধন্ত মাণিক্য মান তাহাকে করিল। তদবধি নরবলি নিষেধ হইল ॥ তিন বৎসরে এক নর চতুর্দশদেবে। কালিকাতে এক নর পাইবেক যবে ৷ দেীচী পাথরে দুই নর শত্রু পাইলে হয়। গোম তীতে দুই বলি ঘটে যে সময় ॥ ইহাতে অধিক বলি মানা করে রাজ । তদবধি নিশ্চিন্তে রহিল রাজ্য প্রজা ৷” ধন্যমাণিক্য খণ্ড,—২৯ পৃঃ ।
- "সহস্ৰ সোয়ার কৰ্ত্তা পাঠান বিস্তর ।
চতুর্দশ দেবতারে দিল নরেশ্বর ॥” বিজয়মাণিক্য খণ্ড । শক্ৰ বলি সম্বন্ধীয় শাস্ত্রের ব্যবস্থা নিম্নে প্রদান করা হইল ;– “তত: শত্রু বলিং রাজা দদ্যাৎ ক্ষীরেন নিৰ্ম্মিতম্। স্বয়ং বিদ্যাৎ ক্রোধ দৃষ্ট প্রহার জনকেন চ ॥ কোপেন বধকৃদেবি সত্যং সত্যং মহেশ্বরি । প্রাণপ্রতিষ্ঠাং কৃত্বা বৈ শত্রুনামা মহেশ্বরি ॥ শত্রুক্ষয়ো মহেশানি ভবত্যেব ন সংশয়ঃ ।” বৃহন্নীল তন্ত্র।
