পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/২৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লঙ্কল্প } মধ্য-মণি । * >Y মাঘদি মাস ষট্কেষু অক্ষয় যদি লভ্যতে। তদিনে চ মহাদেব সৰ্ব্ব তীৰ্থং ফলং লভেৎ ।” বরাহী তন্ত্র । বায়ু পুরাণে উক্ত হইয়াছে – “চৈত্র মাসি সি তাষ্টমাং অক্ষয় যদি লভ্যতে । তদিনে চ মহাপুণ্যং পুণ্যাৎপুণ্য তরে স্মৃতে ॥ অমৃতস্ত প্রতির্বত্র সাক্ষাৎ দেব জনাৰ্দ্দন । সৰ্ব্বপাপ হরেৎ স্নাত্ব পুনর্জন্ম ন বিদ্যতে ॥” ইত্যাদি । এই তীর্থের মহাত্ম্য সম্বন্ধীয় আরও অনেক কথা আছে, এ স্থলে সম্যক আলোচনা করিবার সুবিধা ঘটিল না । প্রতি বৎসর ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণাত্রয়োদশী তিথিতে এবং অশোকাষ্টমীতে এই তীর্থে মহামেলা হইয়া থাকে ; এবং নানাস্থান হইতে সমাগত যাত্রিগণ উক্ত মেলদ্বয়ে সমবেত হইয়া স্বনাদি করে । তৎকালে এই তীর্থে চারি পাঁচ সহস্ৰ লোকের সমাগম হয়। এতদ্ব্যতীত সর্বদাই সাধু সন্ন্যাসিগণ এখানে আগমন করিয়া থাকেন । ক্রমান্বয়ে চারিবার এই তীর্থদর্শন ভাগ্যে ঘটিয়াছে স্বৰ্গীয় মহারাজ রাধাকিশোর মাণিক্য বাহাদুরের গমনকালে তাহার সঙ্গেই প্রথম দর্শন লাভ হয়। তৎপর যে তিনবার গিয়াছি, তখন দেখিয়াছি, এই অল্পকালের মধ্যেই তথাকার অনেক দেবদেবীর মূৰ্ত্তি ক্রমশঃ ধ্বংসমুখে পতিত হুইয়াছে ; এবং অনেক গুলি ধ্বংসোন্মুখ হইয়াছে। ১৮৯৭ খৃষ্টাব্দের প্রবল ভূমিকম্পে এই সকল মূৰ্ত্তির বিস্তর ক্ষতি হইয়াছে। পূর্বেই বলা হইয়াছে, মূৰ্ত্তিগুলির কতক প্রস্তরময় পৰ্ব্বত গাত্রে খোদিত এবং কতক প্রস্তরফলক কৰ্ত্তনদ্বারা নিৰ্ম্মিত । ত্রিপুর রাজ্যের ভূতপূর্ব প্রধান মন্ত্রী স্বৰ্গীয় ধনঞ্জয় ঠাকুর মহোদয়, ১৩০২ ত্রিপুরাব্দে ( ১৮৯২ খৃঃ) এই স্থানে উনকোটাশ্বর শিব, হরগৌরী, বিষ্ণুপদ, কালভৈরব, বাসুদেব, রাক্ষস ও রাক্ষসী মূৰ্ত্তি, হনুমান, পঞ্চমুখ শিব, গণপতি, লক্ষনী, রাবণ, রাম-লক্ষণ, শিবলিঙ্গ এবং চন্দ্র ও সূৰ্য মূৰ্ত্তি দর্শন করিয়াছিলেন। অস্পষ্ট অঙ্কন দৃষ্টে অধিকাংশ মূৰ্ত্তির পরিচয় সংগ্রহ পক্ষে তিনি অসমর্থ হইয়াছিলেন । আমাদের প্রথম দর্শনকালে এই সকল মূৰ্ত্তির অধিকাংশই বিদ্যমান ছিল, উনকোটী পরবর্তী কালে দেখা গিয়াছে, তাহার অনেকটা ধ্বংস হইয়াছে। তীর্থে প্রতিষ্ঠিত পর্বতশৃঙ্গে অবস্থিত প্রস্তর মূৰ্ত্তিগুলির কতক ভগ্ন হইয়াছে এবং "িৎ" | পর্বত গাত্রে খোদিত মূৰ্ত্তির কোনট সম্পূর্ণ এবং কোনটা আংশিক ধবসিয়া পড়িয়ছে। অবশিষ্টগুলিও দীর্ঘকাল স্থায়ী হইবে বলিয়া মনে হয় না, ক্রমশঃ ধ্বসিয়া বিনষ্ট হইবার সস্তাবনাই অধিক। এই সকল মূৰ্ত্তিতে শিল্প নৈপুণ্যের বিশেষ পরিচয় না থাকিলেও প্রাচীনত্বের অনেক নিদর্শন আছে। সুদীর্ঘকাল অনাবৃত স্থানে থাকিবার দরুণ নানারূপ প্রাকৃতিক বিপৰ্য্যয়ে, বিশেষতঃ বর্ষার >Q উনকে টী তীর্থ দর্শন ।