পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जश्द्र ] म४-भकिी । Y } { নর-খাদক ও উগ্র স্বভাব কুকির আবাস ভূমি ছিল ; সুতরাং পথকষ্ট এবং কুকিভীতি, এতদুভয় কারণে এই তীর্থের অবনতি ঘটিয়াছে, এরূপ মনে করা অসঙ্গত হইবে না। এই স্থানের অধিষ্ঠাতা মহর্ষিগণের তিরোধানের পর, এই তীর্থের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখিবার নিমিত্ত কোনরূপ যত্ব হইবার অথবা সমাগত যাত্রীবৃন্দের সুবিধার প্রতি কাহারও দৃষ্টি থাকিবার প্রমাণ নাই । এই সকল কারণেই ক্রমশঃ তীর্থটা শ্রীভ্রষ্ট হইয়াছে । অধুনা আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের প্রসাদে এই তীর্থে যাত্রী সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাইতেছে সত্য, কিন্তু এতদ্বারা ইহার অতীত গৌরব পুনরাগত হইবার আশা করা যাইতে পারে না । ভবিষ্যকালে আবার কখনও যদি কপিল অথবা মমুর স্যায় কোনও মহাপুরুষের আবির্ভাব হয়, তবে তাহার পবিত্র চরণ স্পর্শে, লুপ্ত তীর্থমাহাত্ম্য পুনর্বার জাগ্রত হইলেও হইতে পারে ; কিন্তু সে দিন সুদূর পরাহত বলিয়াই মনে হয় । ডম্বুর বা ভুঙ্গু তীর্থ। বিজয়মাণিক্য খণ্ডে লিখিত আছে ;– “নরপতির দুই পুত্র জন্মে ক্রমে ক্রম । ডুঙ্গু তীর্থে জন্ম জ্যেষ্ঠ ভুঙ্গুর নাম উত্তম।” ডুঙ্গু তীর্থে জন্মহেতু বিজয়মাণিক্যের জ্যেষ্ঠ পুত্রের নাম "ডুঙ্গুর ফা” ডসূত্র গর্গের অবস্থান হইয়াছিল। এই ডুঙ্গু তীর্থ সাধারণতঃ ডস্কুর’ নামে অভিহিত । নির্ণয় । ইয়ুরোপীয়গণ ইহাকে ডুমরি ফল (Dumeria-Fall) বলে ; ইহা একটা সুদৃশ্য জলপ্রপাত। এই প্রপাত হইতে গোমতী নদীর উৎপত্তি হইয়াছে। আঠারমুড়া পর্বত জাত সাইমা নদী এবং লংতরাই পৰ্ব্বতোৎপন্ন রাইমা নদী গোমতীর আদি মাতা, তাহার নিম্ন দেশস্থ আরও অনেক নদী এবং ছড়া আত্মসমপর্ণদ্বারা গোমতীর পুষ্টিবিধান করিয়াছে। যেই জলপ্রপাত হইতে গোমতী বহির্গত হইয়াছে, সেই প্রপাতের নাম ডম্বুর। অনেকে বলে, প্রপাতের আকৃতি মহাদেবের হস্তস্থিত ডম্বুরের আকারবিশিষ্ট বলিয়া, ইহার নাম ডম্বুর হইয়াছে ; “ডুলু” শব্দ ‘ডস্কুর’ শব্দেরই অপভ্রংশ বলিয়া মনে হয়। স্থানটা অতি নির্জন ; এই স্থানের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য যিনি দর্শন করিয়াছেন, ডলুর তীর্থের সংক্ষিপ্ত তিনিই মোহিত হইয়াছেন। প্রস্তরময় স্থানের নানাদিক হইতে "' আগত জলপ্রপাতের জলদ্বারা সর্বব নিম্নে মণ্ডলাকার, শত হস্ত পরিমিত ব্যাসের একট কুণ্ড স্থষ্ট হইয়াছে। এই কুণ্ডের গভীরতা বিশ হস্ত হইবে । ইহার উপরে ক্রমাগত আরও কয়েকট কুণ্ড আছে ; এবং প্রত্যেক কুণ্ডের বিশেষ বিশেষ নাম আছে। সাধারণতঃ প্রথমোক্ত কুণ্ডকে ‘রাণী কুণ্ড, চতুর্থ কুণ্ডকে ‘কাছুয়া কুণ্ড’ এবং আর একট কুণ্ডকে ‘কমলা কুগু বলা হয়। এই