পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজমালা । [ দ্বিতীয় 9 מ' כל সুদৃশ্য জলপ্রপাত পূৰ্ব্বকালে তীর্থ বলিয়া পরিগণিত ছিল। এ স্থানে অনেক যাত্রী সমাগম হইত এবং ত্রিপুরেশ্বরগণ অনেক সময় পরিবারবর্গসহ এই স্থানে যাইয় মান দানাদি করিতেন । এই সময় মহারাণীগণ যেই কুণ্ডে স্নান করিতেন তাহ রাণী কুণ্ড’ এবং কাছুয়া রাণীগণের স্বানের নিমিত্ত নির্দিষ্ট কুণ্ড কাছুয়া কুণ্ড’ নামে অভিহিত হইয়াছে । সম্ভবতঃ মহারাজ ধন্যমাণিক্যের মহিষী, মহারাণী কমল৷ মহাদেবী হইতে ‘কমলা কুণ্ড’ নাম হইয় গকিবে । এই স্থানে ক্রমান্বয়ে সাতটা কুণ্ড অবস্থিত থাকায় অনেকে ইহাকে সাত ভক্ষুর? বা ‘সাততালা’ বলে । ক্রমে নিম্ন সাতটা স্তরবিশিষ্ট কৃষ্ণবর্ণ প্রস্তরের উপর দিয়া রজতনিভ জলরাশি অনুচ্চ শব্দে গড়াইয়া পড়ায়, স্থানটী বিশেষ মনোজ্ঞ হইয়াছে। কাল প্রভাবে, এই সুরম্য ও বিজন স্থানের তীর্থ জনিত সম্মান বিনষ্ট হইয়া থাকিলেও, মনোহারিত্বের নিমিত্ত এখনও ইহা সৰ্ব্বজন সমাদৃত। কবি এবং চিত্রকরগণের এই স্থান হাবশ্য দর্শনীয় বলিয়া মনে হয় । সামরিক বল ও সমর ইত্যাদি বিষয়ক বিবরণ। সামরিক বল । মহারাজ ধন্যমণিক্যের শাসনকালে ত্রিপুরার সৈন্যবল অতিশয় বৃদ্ধি পাইয়াছিল । তিনি বার কোট সৈন্য লইয়া মুসলমানগণের সৈনিক বিভাগের প্রণালী অবলম্বনে সৈন্যদল গঠন করিয়ছিলেন । * মহারাজ বিজয়মণিক্যের সামরিক বলও বিশেষ দৃঢ় ছিল । বঙ্গাভিযান aaaaa, কালে তাহার সঙ্গীয় নৌ-বহরে পঞ্চ সহস্ৰ নৌকা ছিল । বঙ্গ ভিযান । এতদ্ব্যতীত সহস্ৰ অশ্বারোহী, বহুসংখ্যক গোলন্দাজ ও তীরন্দাজ সহ ছবিবশ হাজার পদাতি সৈন্য গমন করিয়াছিল। র্তাহার অশ্বারোহী দলের

  • "গৌড়েশ্বর সৈন্ত মত সৈন্ত যে রাজার ।

বার কোটা পদাতি নৃপ করয়ে প্রচার ॥” ধন্ত মাণিক্য খণ্ড । এই সময় ত্রিপুর রাজ্যবাসী পুরুষ মাত্রই যোদ্ধা এবং ত্রিপুরার সৈনিক বিভাগের অন্তর্নিবিষ্ট ছিল। সে কালে রাজ্যের সীমাও বহু বিস্তৃত ছিল । সৈন্তগণের সকলকে সৰ্ব্বদা কাৰ্য্যে উপস্থিত থাকিতে হইত না, কিন্তু প্রয়োজন কালে সমরার্থ উপস্থিত হইতে সকলেই বাধ্য ছিল। o