পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লহর ] अशJ-मणिं । $ :ፃ সৈন্য প্রেরণ করায়, ত্রিপুরেশ্বরকে এ যাত্রায় আরাকান বিজয়ের সঙ্কল্প পরিত্যাগ করিতে হইয়াছিল। ইহা ১৪৩৭ শকের (১৫১৫ খৃঃ ) কথা । হোসেন সাহ এবার বিপুল-বাহিনীসহ হৈতন খাঁ ও করা খাঁ নামক সেনাপতিaaq are দ্বয়কে ত্রিপুরার বিরুদ্ধে প্রেরণ করেন। এই অভিযানে পাঠানের পুনরাক্রমণ এক শত হস্তী, পঞ্চ সহস্ৰ ঘোটক এবং এক লক্ষ পদাতিক সৈন্য ছিল । এই সময় ত্রিপুর সেনাপতি রায়কাচাগ (চয়চাগ) চট্টগ্রাম রক্ষার নিমিত্ত তথাকার সেনানিবাসে অবস্থান করিতেছিলেন। পাঠান বাহিনীর আগমন বাৰ্ত্তা শ্রবণে তিনি অল্পসংখ্যক সৈন্য চট্টগ্রামে রাখিয়া, অবশিষ্ট সৈন্যসহ হৈতন খায়ের বিরুদ্ধে যাত্রা করিলেন । এবার পাঠান সৈন্য গোমতী পথে না আসিয়া, সরাইল, কৈলারগড় (কসবা) ও বিশালগড়ের পথে অগ্রসর হইয়া প্রথমতঃ জামির খাঁ গড় আক্রমণ করিল। এই গড়ের অধিনায়ক খড়গ রায় প্রাণপণে যুদ্ধ করিয়াও দুর্গ রক্ষণে সমর্থ হইলেন না । হৈতন খাঁ দুর্গ অধিকার করিলেন, পরাজিত ত্রিপুর সেনানী ছয়ঘরিয়া দুর্গের আশ্রয় গ্রহণ করিতে বাধ্য হইলেন। হৈতন থা প্রবল বিক্রমে এই দুর্গও আক্রমণ করায় তুগরক্ষক সেনাপতি গগন খাঁ তৃতীয় প্রহরকাল ভীষণ সংগ্রাম করিয়াছিলেন, পরিশেষে পাঠানের প্রবলবেগ সহ করিতে অপারগ হইয়া শ্রান্ত সৈন্যদলসহ রাঙ্গামাটা (উদয়পুর) অভিমুখে প্রস্থান করিলেন । এ দিকে বিজয়ী হৈতন খাঁ রাজধানী আক্রমণে উদ্যুক্ত হইলেন এবং ডোমঘটির পথে শিবির সন্নিবেশিত করিয়া আক্রমণের সুযোগ প্রতীক্ষায় রহিলেন । এবারও ত্রিপুর সেনাপতি রায়কাচাগ (চয়চাগ) পূর্ব কৌশল অবলম্বন aamaaka করিয়া সম্পূর্ণরূপে কৃতকাৰ্য হইয়াছিলেন। তিনি পাঠানদিগকে বাহিনীর পরাজয়। গোমতীর স্রোতে ভাসাইয়া দিয়া, সম্পূর্ণরূপে পরাভূত করিয়াছিলেন। এই সময় পলায়নপর হৈতন থাএর অবস্থা বড়ই শোচনীয় হইয়াছিল । তিনি— "ছকড়িয়ার ঘাটে গিয়া সত্য করি কৈল । এত সৈন্ত সঙ্গে আনি জিনিতে ন পাইল । এহার অধিক সৈন্ত যাহার ষে হয় । সে পুনি আসুক এথা পরম নির্ভয় ॥ তা হইতে অল্প সৈন্ত না আসুক হেথা । শপথ করিল আমি এই সত্য কথা ॥ যে সৰ পাঠান হয় যেই যোদ্ধা সব । অল্প সৈন্তে যে বা আসে সে সব গর্দভ।” ধন্তমাণিক্য থও,– ২৮ পূঃ । ১৭