পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जङ्ग़ ] মধ্য-মণি । ১২৯ ত্রিপুর নৃপতি যার ডরে এড়ে দেশ । পৰ্ব্বত গহবরে গিয়া করিল প্রবেশ ॥ গজ বাজী কর দিয়া করিল সন্মান । মহা বন মধ্যে তার পুরীর নিৰ্ম্মাণ । অদ্যাপি ভয় না দিল মহামতি । তথাপি আতঙ্কে ৰৈসে ত্রিপুর নৃপতি ॥” ইত্যাদি। ইহা কবির আশ্রয়দাতাকে বীরেন্দ্র সমাজে উচ্চ আসন প্রদান করিবার ব্যর্থ প্রয়াস ব্যতীত আর কিছু নহে। হোসেন সাহ ত্রিপুরেশ্বরের হস্তে বারম্বার পরাজিত হইবার কথা ইতিপূর্বে বর্ণিত হইয়াছে ; তাহার দুৰ্গতি ভোগের আরও অনেক কথা আছে, তাহ অতঃপর বলা হইবে। তৎসমুদয় আলোচনা করিলে স্পষ্টই প্রতীয়মান হইবে, পূর্বোক্ত বর্ণনা তোষামোদকারী কবির স্তাবকতা মাত্র। ধন্যমাণিক্যের পুত্র দেবমাণিক্য ভুলুয়া প্রদেশ হইতে আরম্ভ করিয়া সমুদ্রতীর দেবমণিক্যের তুলুয়া পৰ্য্যন্ত জয় করিয়াছিলেন। ও চট্টগ্রাম বিজয় । ধন্যমাণিক্য পাঠান আহবে লিপ্ত থাকা কালে, মঘগণ চট্টগ্রাম অধিকার করিয়াছিল, দেবমাণিক্য তাহাদিগকে বিতাড়িত করিয়া, হৃত-প্রদেশের পুনরুদ্ধার ও তথায় একটা থানা ( সেনানিবাস ) সংস্থাপন করেন। মহারাজ বিজয়মাণিক্য উত্তরদিকে শ্রীহট্ট এবং খাসিয়া ( জয়ন্তা ) রাজ্যের Runar as কিয়দংশ জয় করিয়াছিলেন এবং শ্রীহট্টে এক সৈন্তাবাস স্থাপন বিজয় বিবরণ। পূর্বক, সৈন্তাধ্যক্ষ কালানাজিরকে সেই দেশ রক্ষার নিমিত্ত নিযুক্ত করিয়াছিলেন। গৌড়েশ্বর সুলতান সুলেমান কররাণি, * ত্রিপুরা জয় করিবার নিমিত্ত র্তাহার শ্বালক ও সেনানায়ক মমারক খাকে (মতান্তরে মহম্মদ খ' ), সুলতান স্থলেমান কররাশির চট্টগ্রাম তিন সহস্ৰ অশ্বারোহী ও দশ সহস্ৰ পদাতিক সৈন্যসহ প্রেরণ ""*" করিয়াছিলেন। চট্টগ্রামে মমারক খায়ের সহিত যে যুদ্ধ হয় তাহাতে প্রথমতঃ ত্রিপুর সৈন্যগণ পরাস্ত ও পলায়নপর হইয়াছিল, পরে নব-বল সঞ্চয় করিয়া

  • রাজমালার রচয়িত গৌড়েশ্বরের নামোল্লেখ করেন নাই। কৈলাস বাবু বলিয়াছেন,— *কররানি বংগীয় উড়িষ্য বিজয়ী সুলতান সুলেমান চট্টগ্রাম অধিকার জন্ত মহম্মদ খা নামক জনৈক

সেনাপতির অধীনে তিন সহস্র অশ্বারোহী ও দশ সহস্র পদাতি প্রেরণ করেন ।” কৈলাস বাবুর রাজমালা—২য় ভাগ, ৩য় অঃ, ৫৭ পৃঃ । এতৎসম্বন্ধে ত্রিপুর বংশাবলী পুথিতে পাওয়া যায়,— p “বঙ্গদেশের অধিকারী সোলেমান ছিল । চট্টগ্রামের থানা আসি আক্রমণ করিল। মহম্মদ খা সোলেমানের সেনাপতি । তের হাজার সৈন্তসহ হৈল উপস্থিতি ॥” ইত্যাদি ।