পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3ురి* রাজমালী । { দ্বিতীয় সৈনিক বিভাগে দণ্ডের ব্যবস্থা কিছু অদ্ভুত রকমের ছিল। যুদ্ধে পরাজিত সৈন্তাধ্যক্ষদিগকে অবমাননার নিদর্শনস্বরূপ চরকা উপহার দেওয়া হইত। থানাংছি দুর্গ অধিকারে অক্ষম ত্রিপুর সৈন্যদিগকে সেনাপতি চয়চাগ (কাচাগ) শাসাইয়া বলিয়াছিলেন ;— “কাপুরুষ হও তোর চরখ হস্তে লব । রাজার সাক্ষাতে যাইয়া কি উত্তর দিব ॥” ধন্ত মাণিক্য খণ্ড । পাঠান সেনাপতি মমারক খাঁ চট্টগ্রাম অধিকার করিবার পর, ত্রিপুর বাহিনী আট মাস যুদ্ধ করিয়াও হৃত প্রদেশের উদ্ধার সাধন করিতে সমর্থ না হওয়ায়, মহারাজ বিজয়মাণিক্য সেই সমরে নূতন সেনাপতি প্রেরণ করিয়া, পূর্ব প্রেরিত সৈন্তাধ্যক্ষদিগের নিম্নলিখিতরূপ দণ্ডবিধান করিয়াছিলেন ;— 而\91 “আট মাস যুদ্ধ করে পাঠানের সনে । লইতে ন পারে গড় চাটিগ্রাম স্থানে ॥ হেন শুনি বিজয়মাণিক্য ক্রোধ হৈল। সেনাপতি সকলেরে চরখা পাঠাইল ॥” বিজয়মাণিক্য খণ্ড । যুদ্ধে অপারগতা হেতু, সূতা কাটিয়া জীবিকা নির্বাহ করিবার নিমিত্ত রাজার ইঙ্গিত পাওয়া বীরপুরুষের পক্ষে কিরূপ অপমানজনক, তাহ একমাত্র বীরেরই হৃদয়ঙ্গমযোগ্য । সেনাপতিগণের আধিপত্য ও উচ্ছ,খলতা। প্রাচীনকালে প্রধান সেনাপতিগণের হস্তেই রাজ্য শাসনের ভার অর্পিত হইত, ...w, একথা অনেকবার বলা হইয়াছে। সৈন্যবল ও শাসনভার এক ভার এক হন্তে হস্তে পতিত হওয়ায়, সেনাপতিগণ রাজ্য এবং রাজার উপর প্রভাব অর্পণের কুফল । বিস্তারের বিশেষ সুযোগ পাইতেন । ইহারা ক্ষমতাগর্বের্ব ক্রমশঃ এরূপ দুর্দান্ত এবং উচ্ছখল হইয়া উঠিতেছিলেন যে, রাজ্যেশ্বরকে সিংহাসনচ্যুত করিয়া, অপর ব্যক্তিকে সিংহাসন প্রদান করা সম্পূর্ণরূপে র্তাহাদের ইচ্ছাধীন হইয়া দাড়াইত। কোন কোন দুষ্ট সেনাপতি রাজ্যলোভে, অথবা আক্রোশমুলে রাজাকে বধ করিতেও কুষ্ঠিত হইতেন না। রাজমালায় এরূপ দৃষ্টান্ত অনেক আছে, নিম্বে এতদ্বিষয়ক আভাস প্রদান করা যাইতেছে। মহামাণিক্যের পরলোকগমনের পর, সিংহাসন লইয়া বিষম গোলমাল aansada উপস্থিত হইয়াছিল। এই সময় স্বৰ্গীয় মহারাজের জ্যেষ্ঠ কুমার প্রভাব । ধৰ্ম্মদেব সংসার ত্যাগ করিয়া সন্ন্যাসীবেশে বারাণসীধামে বাস করিতেছিলেন। র্তাহার অমুজ চতুষ্টয় সিংহাসন লাভের নিমিত্ত পরস্পর বিবাদ