পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ऋणानि ] মধ্য-মণি । రిసా আরম্ভ করিলেন। সেনাপতিগণও রাজকুমারদিগকে উপেক্ষা করিয়া, প্রত্যেকেই রাজ্যলাভের প্রয়াসী হইলেন ; অথচ একে অস্যের ভয়ে অগ্রসর হইতে সাহসী হইতে ছিলেন না। পরিশেষে কুমার ধৰ্ম্মকে রাজা করাই সঙ্গত এবং নিরাপদ বলিয়া স্থিরীকৃত হইল। এই মীমাংসায় সেনাপতিগণেরই প্রাধান্য ছিল । ধৰ্ম্মমাণিক্য, ধন্য ও প্রতাপ নামক দুই পুত্ৰ বৰ্ত্তমান রাখিয়া মানবলীল। এই সময়ের অবস্থা আলোচনা করিলে জানা হেতু ধগুমাণিক্যের যায়, সেনাপতিগণ ষড়যন্ত্রমূলে জ্যেষ্ঠ ধন্তকে উপেক্ষা করিয়া " রাজ্যের চিরন্তন বিধি উল্লঙ্ঘনপূর্বক স্বার্থসিদ্ধির বাসনায় কনিষ্ঠ প্রতাপকে সিংহাসনে বসাইলেন। কিয়ৎকাল পরে আবার তাহারাই বালক প্রতাপের শিরে অধাৰ্ম্মিকতার অভিযোগ চাপাইয়া রাত্রিকালে গোপনে তাহাকে নিহত করিলেন । প্রতাপের নিধন সাধনের পর সেনাপতিগণ একে অন্তকে অতিক্রম করিয়া সিংহাসন অধিকারের নিমিত্ত ব্যগ্র হইলেন । এই সময় উচ্ছখল সেনাপতিবৃন্দের অত্যাচারে প্রকৃতিপুঞ্জ সন্ত্রস্ত হইয়া উঠিল; তাহার প্রাণভয়ে ইতস্ততঃ পলায়ন করিতে লাগিল ; কুমার ধন্য স্বীয় জীবন সঙ্কটাপন্ন মনে করিয়া জনৈক হিতাকাঙক্ষী পুরোহিতের গৃহে লুক্কায়িত ভাবে কালাতিপাত করিতে বাধ্য হইলেন। অনেক কাটাকাটি মারামারির পর, প্রধান সেনাপতি বুঝিলেন, রাজপুত্র ধন্যকে সিংহাসন অপর্ণ করা ব্যতীত উপস্থিত রাষ্ট্রবিপ্লব নিবারণের উপায়ান্তর নাই। র্তাহার প্রস্তাবে অন্য সেনাপতিগণ সম্মত হইয়া, ধন্যের অনুসন্ধানার্থ ধাত্রীর নিকট উপস্থিত হইলেন। ধাত্রী দলবদ্ধ সেনানীদিগকে দেখিয়া মনে করিলেন, ধন্তের নিধন সাধনদ্বারা রাজ্যলাভের পথ নিষ্কণ্টক করিবার অভিপ্রায়ে ইহারা বদ্ধপরিকর হইয়াছেন। সুতরাং তিনি প্রথমতঃ কিছুতেই ধন্যের সন্ধান বলিলেন না। ধাত্রীর মনোগত ভাব বুঝিতে পারিয়া প্রধান সেনাপতি শালগ্রাম স্পর্শ করিয়া শপথপূর্বক বলিলেন, “ধন্তের কোনরূপ অনিষ্টের আশঙ্কা নাই, তাহাকে সিংহাসনে স্থাপন করা হইবে।” তখন ধাত্রী আশ্বস্ত হইয়া, ধন্যের পুরোহিত গৃহে অবস্থিতির কথা বলিয়া দিলেন। সেনাপতিগণ অশ্বগজাদি সমন্বিত বিপুল-বাহিনী সহ পুরোহিতের গৃহে উপস্থিত হইলেন। তদর্শনে রাজকুমার ধন্যের মনে ধাত্রীর স্থায়ই সংশয় জন্মিয়াছিল। তিনি ভয়াৰ্ত্তচিত্তে জীবন রক্ষার নিমিত্ত গৃহকোণে একটা বঁাশের মাচার নীচে যাইয়া প্রচ্ছন্নভাবে রহিলেন। কিন্তু এই অবস্থায় অধিককাল অবস্থান করিতে সমর্থ হইলেন না ; অনুসন্ধান তৎপর সেনাপতিগণ র্তাহাকে মঞ্চের নিম্নদেশ হইতে টানিয়া বাহিরে আনিলেন । এই সময় ধন্য একাদশ বৎসর বয়স্ক ৰালক ছিলেন। বালক, সাক্ষাৎ কালস্বরূপ সেনাপতিগণের হস্তে পতিত হইয়া আপনাকে নিতান্তই নিঃসহায় এবং বিপন্ন মনে করিলেন। তিনি বালকোচিত বিনয়বাক্যে বলিলেন, “আমি রাজ্যলাভের অভিলাষী নহি, পুরোহিতের গৃহে