পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه 'ري!! ত্ৰিবেণী নামক গ্রাম বিদ্যমান রহিয়াছে, ইহা প্রসিদ্ধ তীর্থ স্থান । পুনর্ব এই স্থান একটা প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র মধ্যে পরিগণিত ছিল । ইহা গঙ্গাতীরে, ২২°৫৮১০* উত্তর অক্ষাংশে ও ৮৮°২৬৪০× পূর্ব দ্রাঘিমায় অবস্থিত। এখানে যমুনা ও সরস্বতী নদী গঙ্গার সহিত বিযুক্ত হওয়ায়, স্থানের নাম ত্রিবেণী হইয়াছে। প্রয়াগে উক্ত নদীত্রয় সংযোজিত হওয়ায় তাহাকে যুক্তবেণী বলা হয়, এই স্থানে নদীত্রয় বিভিন্ন পথ অবলম্বন করায়, ইহা ‘মুক্তবেণী’ নামে অভিহিত হইয়াছে। স্মৰ্ত্ত রঘুনন্দনের প্রায়শ্চিত্ত তত্ত্বে পাওয়া যায় ;– “প্রদ্যুম্ননগরা ঘাম্যে সরস্বত্যাস্তথোন্তরে । তদক্ষিণ প্রয়াগস্তু গঙ্গাত যমুনা গত । স্নাত্ব তত্ৰাক্ষয়ং পুণ্যং প্রয়াগ হব লক্ষ্যতে ॥” মৰ্ম্ম ;–“প্রত্নাক্স নগরের (পাণ্ডুয়ার ) দক্ষিণ ও সরস্বতী নদীর উত্তরে, দক্ষিণ প্রয়াগ । এই স্থানে গঙ্গা হইতে যমুনা চলিয়া গিয়াছেন। এখানে স্বান করিলে প্রয়াগে স্বানের স্যায় অক্ষয় পুণ্য লাভ হয় ।” “দক্ষিণ প্রয়াগ উন্মুক্তবেণী সপ্ত গ্রামাখ্যা দক্ষিণ দেশে ত্রিবেণীতি খ্যাত।” মৰ্ম্ম ;—উন্মুক্ত বেণী দক্ষিণ প্রয়াগ, সপ্ত গ্রামের নিকট দক্ষিণ দেশে ত্রিবেণী নামে খ্যাত । এতদ্বারা জনা যাইতেছে, এই স্থান কেবল ‘ত্রিবেণী’ নামে অবিহিত নহে ;— পরস্তু তীর্থ-গৌরবে ইহাকে দক্ষিণ প্রয়াগ’ আখ্যা প্রদান করা হইয়াছে। প্রাচীন কবিগণের বর্ণনায়ও এই স্থানের তীর্থজনিত সম্মান পরিলক্ষিত হয় । কবিকঙ্কণ মুকুন্দরাম বলিয়াছেন – “বাম দিকে হালি সহর দক্ষিণে ত্রিবেণী । বাত্রিদের কোলাহলে কিছুই না শুনি ॥ লক্ষ লক্ষ লোক এক কালে করে স্নান । বাস হেম তিল ধেনু দ্বিজে দেয় দান ॥ গর্ভে বসি শিব পূজা করে কোন জন । রজতের সিপে কেহ করয় তৰ্পণ ॥ শ্রাদ্ধ করে কোন জন জলের সমীপে । সন্ধ্যাকালে কোন জন দেয় ধূপ দীপে।” কবিকঙ্কণ.চওঁী । কবিকঙ্কণ এই ত্রিবেণীকে “তীর্থের চুড়ামণি” বলিয়াছেন । বৰ্ত্তমান কালেও এই স্থানের তীৰ্থজনিত সম্মান যথেষ্ট আছে, বারুণী ও মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে এখানে তিন দিবস ব্যাপী মেলা বসে, এবং বহু যাত্রী সমাগম হইয়া থাকে। সূৰ্য্য