পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লহর } মধ্য-মণি । ృు গোপনে একটী কুষ্মাগু শুড়িকে প্রদান করিয়া তদ্বিনিময়ে মদ্যপান করিয়াছিল । * রাজপরিবারের মধ্যেও মদ্যের প্রচলন না ছিল এমন নহে। অমরমাণিক্য, জয়মাণিক্যের সেনাপতি পদে নিযুক্ত থাকা কালে, র্তাহার প্র তিদ্বন্দ্বী সেনাপতি রণাগণ, তাহাকে মদ্যপান করাইয়া নিহত করিবার নিমিত্ত চেষ্টিত হইয়াছিলেন । ণ কেবল পুরুষগণের সুরাসক্তির কথা বলিলে চলিবে না। রমণী সমাজেও মদিরার প্রচলন থাকিবীর প্রমাণ পাওয়া যায় । মহারাজ ধন্যমাণিক্যের মহিষী সৈন্তের রমণীদিগকে মদ্যপান করাইয়া তাহদের অবস্থা দর্শনে আনন্দ লাভ করিতেন । ঃ সেকালে মদ্য অতি সুলভ ছিল । সুবর্ণ কুম্মাণ্ডের বিনিময়ে মদ্য পান করিবার কথা ইতিপূর্বে বলা হইয়াছে। এতদুপলক্ষে রাজমালা বলেন – “পিতলের জানিয়া কুষ্মাণ্ড নিয়াছিল । এক আন মূল্য করি মস্ত পান কৈল । অবশিষ্ট লৈয় গেল রাজার সাক্ষাত । সুবর্ণ কুষ্মাগু হেন জানিল পশ্চাত । দূত মুখে শুনি রাজা তদন্ত করিল। সুড়ি ঘরে দিয়া পাইকে মদ্য পান কৈল । আষ্টসের মদ্য তাতে করিয়াছে পান। এ সব বৃত্তাম্ভ কহে রাজা বিদ্যমান ॥” 8 রাজমালার এই উক্তিদ্বারা জানা যায়, এক আন মূল্যে আট সের অর্থাৎ প্রতি পয়সায় দুই সের মদ্য পাওয়া যাইত। সেকালে প্রতি ঘরে ঘরে মদ্য চুয়াইবার অধিকার ছিল এবং বর্তমান কালের ন্যায় সুরার উপর কোনরূপ শুল্ক ধাৰ্য্য ছিল না ।

  • “দৈবে কুষ্মাও এক পাইকে লুকাইয়া ।

মদ্য পান করিছিল গুড়ি ঘরে গিয়া ॥* বিজয়মাণিক্য খণ্ড । { অমরমাণিক্য স্বয়ং বলিয়াছেন ; “আম ডাকে রপাগণ ভোজন করিতে । মস্ত পান করাইয়া চাহিল মারিতে ॥” জয়মাণিক্য খণ্ড ।

  • "সাগরের খনন দেখিতে মহারাণী ।

সৈন্তের রমণী সনে রাত্রিতে আপনি ॥ জ্যোৎস্নাকাল কোন রাত্রে নারিগণ সঙ্গে । মদ্য মাংস খাওয়াইয়। চাহে বহু রঙ্গে ॥” ধন্তমাণিক্য খণ্ড । $ রাজমালা—বিজয়মাণিক্য খণ্ড ।