পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> グデ রাজমালা । { দ্বিতীয় পটে বা তাম্রপট্টে বা স্বমুদ্রোপরিচিতুনং । অতি লেখ্যাত্মনোবংশুনোত্মানঞ্চ মহীপতিঃ ॥ প্রতিগ্রহ পরীমাণং মানাচ্ছেদোপবর্ণনং । স্বহস্ত কালসম্পন্নং শাসনং কারয়েৎ স্থিরং ॥” (যাজ্ঞবল্ক্য) । বৃহদ্ধৰ্ম্মপুরাণ উত্তর খণ্ডের তৃতীয় অধ্যায়ে ও অন্যান্য গ্রস্থে ভূমিদান এবং ব্ৰহ্মবৃত্তি সম্বন্ধীয় অনেক কথা পাওয়া যায়। নিজের কিম্বা অন্যের প্রদত্ত ভূমি হরণকারীর গুরুতর পাপের কথাও বিস্তর আছে ; তাহার একটমাত্র এ স্থলে দেওয়া গেল ;– “স্বদত্তাং পরদত্তাং বা যো হরেত বসুন্ধরাম । ষষ্টি বর্ষ সহস্রাণি বিষ্ঠায়াং জায়তে কৃমিঃ ॥ ভূমেঃ স্বপরদত্তায় হরণান্নাধিকং কচিৎ। পাপমস্তি মহারৌদ্রং নস্বীকুৰ্ম্মঃ পুনান্ততাম।” ব্ৰহ্মপুরাণ–১৫৫ তঃ, ৬-৭ শ্লোক । এই সকল শাস্ত্রীয় বাক্যে আস্থাবান ছিলেন বলিয়াই প্রাচীনকালের পুণ্যশ্লোক an an ar, ভূপতিগণ অকাতরে ভূমি দান করিতেন, এবং তাহদের স্থলবিশ্বাস । বৰ্ত্তীগণও সেই দান অক্ষুণ্ণ রাখিতেন। অধিকাংশ তাম্র-শাসনেই ঐীরামচন্দ্রের সম্পাদিত শাসনের অংশবিশেষ উৎকীর্ণ হইবার প্রমাণ পাওয়া যাইতেছে। দৃষ্টান্ত স্থলে বল্লাল সেনের, ভোজবৰ্মা দেবের, হরিবল্ম দেবের, ধৰ্ম্মমাণিক্যের, লক্ষণ সেনের ও শ্যামল বৰ্ম্মের সম্পাদিত শাসন এবং অন্যান্য অনেক তাম্র-শাসনের কথা উল্লেখ করা যাইতে পারে। এতদ্বারা ইহাই বুঝা যায়, রামচন্দ্রের পরবর্তী ভূস্বামীগণ র্তাহারই পুণ্য আদর্শের অনুসরণ করিতেছিলেন। কোন কোন শাসনে রামচন্দ্রের অনুরোধের উল্লেখ থাকায়, এই ধারণা অধিকতর বদ্ধমূল হইতেছে। রাজা দেবখড়গ তাহার ত্রয়োদশ রাজ্যাঙ্কের ২৫শে পৌষ তারিখে আসরফপুরের তাম্র-শাসন সম্পাদন করিয়াছিলেন । সেই শাসনে উৎকীর্ণ বাক্যাবলী এ স্থলে উল্লেখযোগ্য । “ইতি কমলদলামু বিন্দুলোলাং শ্রিয়মনুচিন্ত্য মনুষ্ণু জীবিতঃ চ সকলমিদমুদাহৃতং চবুধ্য নহি পুরুষৈঃ পরকীৰ্ত্তয়ে বিলো— ॥ এতাদ্যেতাং ভাবিনঃ পার্থিবেঙ্গং ভূয়োভূয়ে প্রার্থক্সত্যেষ রামঃ ।” মৰ্ম্ম —শ্ৰী এবং মানব জীবন পদ্মদলস্থিত জলবিন্দুর স্থায় চঞ্চল, ইহা মনে করিয়া এবং পূর্বোক্ত বিষয়গুলি আলোচনা করিয়া, কেহ অন্তের কীৰ্ত্তি লোপ করিবে না। ভবিষ্যৎ রাজগণের উদ্দেশ্যে ঐরামচন্দ্র পুনঃ পুনঃ এই অমুরোধ করিয়াছেন ।