পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిశి রাজমালা । [ क्टैिौब्र সায়ং বেশ বিলাসিনী জনরণম্মন্ত্রীর মঞ্জুম্বনে র্যেনাকারি বিভিন্ন শব্দ ঘটন বন্দ্যং ত্রিসন্ধ্যং নভঃ ॥* মৰ্ম্ম ;–(লক্ষণ সেন) প্রত্যুষে নরঘাতী বন্দীবৃন্দের বন্ধন-শৃঙ্খল রবে, মধ্যাহ্নে জলপানাৰ্থ সমাগত করভ ও উষ্ট্র যুথের গলঘণ্টা শব্দে এবং সায়ংকালে রাজপথ বাহিনী বারবিলাসিনীগণের সুমধুর নুপুর নিকণে আকাশপথ ধ্বনিত করিতেন। পূর্বে যে লক্ষণ সেনের প্রশস্তির বিবরণ দেওয়া হইয়াছে, তাহাতে তিনি ঠিক এই ভাষায়ই আত্মকীৰ্ত্তি ঘোষণা করিয়াছিলেন, কেশব সেন পিতার সেই অতুলকীৰ্ত্তি পুনর্বার ঝালাইয়া দিয়াছেন মাত্র। অতঃপর পিতার কথা ছাড়িয়া দিয়া, শাসনের ১৮ শ শ্লোকে কেশব আত্মকীৰ্ত্তি বর্ণন করিয়াছেন । তাহ আরও কদৰ্য্য । এস্থলে সেই শ্লোক প্রদান করা যাইতেছে। “আকর্ণাঞ্চলমেলকারবিশিখক্ষেপৈঃ সমাজেদ্বিষাং দানান্তঃ কণগৰ্ভদর্ভকলনৈগোষ্ঠীষু নিষ্ঠাবতং। নীবীবন্ধবিসরণে পরিষদিক্রস্তং কুরঙ্গীবৃশং অব্যাপারমুখোষিতং ক্ষণমপি প্রাপ্নোতিনৈতৎকরঃ ” মৰ্ম্ম ;—তাহার ( কেশব সেনের) হস্তদ্বয় কখনও বিশ্রাম সুখ লাভ করিত না, আকৰ্ণ আকৰ্ষিত বাণদ্বারা বিপক্ষগণের সহিত যুদ্ধ, ব্রাহ্মণদিগকে হিরণ্যগৰ্ভদান এবং লজ্জাশীল কুরঙ্গনয়ন সুন্দরীগণের কটিবন্ধন বস্ত্র শ্লথ করা প্রভৃতি কাৰ্য্যে র্তাহার হস্তদ্বয় সর্বদা নিযুক্ত থাকিত । ইহাই শেষ মহে । উক্ত শাসনের ২৩শ শ্লোকও উল্লেখযোগ্য । তাহা এই ;一 “আরূহাল্লং লিহগৃহশিথামস্ত সৌন্দৰ্য্য লেখাং, পগুস্তুীভিঃ পুরিবিহরতঃ পৌরসীমস্তিনীভিঃ । বাৰ্ত্তাকুই তনয়নচলিতৈর্ধিভ্রমং দর্শয়স্ত্যে, দৃষ্টঃ সখা ক্ষণাবিঘটিত প্রেমপন্ধৈঃ কটাক্ষৈঃ।” মৰ্ম্ম ;–পুরী বিহার কালীন স্থনদীগণ অভ্ৰভেদী গুহচুড়ায় আরোহণ করিয়া র্তাহাকে (রাজাকে ) দেখিতেন, তিনি এই সমস্ত চলিত নয়ন কামিনীগণের প্রতি ক্ষণমাত্র প্রেম কটাক্ষ করিতেন । ধৰ্ম্ম-প্রণোদিত চিত্তে দানপত্র সম্পাদন করিতে যাইয়া, যে কালে সায়ংকালীয় রাজপথ বাহিনী বারবিলাসিনীর নূপুরধ্বনি হৃদয়ে জাগ্রত হইত, পথে চলিবার কালে গৃহচূড়াস্থিত সুন্দরীগণের সহিত কটাক্ষ বিনিময় মনে পড়িত, সুন্দরীগণের কটিবন্ধন বস্ত্র লইয়া টানাটানির কথা হৃদয়ে উদিত হইত, বিশেষতঃ যে কালে সেই সকল কীৰ্ত্তি কাহিনী দানপত্রে উৎকীর্ণ করা রাজা এবং রাজপণ্ডিতগণ গৌরবজনক মনে করিতেন, সেই কালের রুচির বিষয়—ধৰ্ম্ম ভাবের বিষয় চিন্তনীয় নহে কি ? কেবল তাম্রফলকে নহে—শিলালিপিতে এবং সাহিত্যেও সেই রুচির অল্প বিস্তর ছাপ পড়িয়াছিল। কিন্তু ত্রিপুরার কোন শাসনে এবম্বিধ কুরুচি স্থান প্রাপ্ত হয় নাই ।