পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जश्ब्र ] মধ্য-মণি ৷ స్పిరి এ স্থলে আর একটা কথা বলিবার আছে। ভূমিদাতাগণ তাম্র-শাসনদ্বারা e.was as আপনাদিগকে রাষ্ট্র-বিজয়ী বলিয়া ঘোষণা করিবার একটা সহজ বাক্য । সুযোগ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। যে সকল রাজা এরূপ ঘোষণা করিয়াছেন, র্তাহাদের সকলেরই বিজয়-শ্ৰী লাভের সামর্থ্য ছিল কি না, হৃদয়ে স্বতঃই এই প্রশ্নের উদয় হয়। এতদ্বিষয়ক একটা সন্দিগ্ধ দৃষ্টান্তের উল্লেখ করা যাইতেছে। ১১৬৫ শকে (১২৪৩ খৃঃ) সম্পাদিত রাজা দামোদর দেবের চট্টল-শাসনে তাহাকে ‘ত্রিপুর জয়িনং বিশেষণে ভূষিত করা হইয়াছে। ৫ এই বাক্যের যাথার্থ সম্বন্ধে সন্দেহ আছে। কারণ, দামোদরের রাজত্ব খৃষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীর প্রারস্তেই শেষ হইয়াছিল। ইহা বঙ্গদেশে মুসলমান প্রভাব বিস্তারের পূর্ববর্তী সময়ের কথা। তৎকালে ত্রিপুরার সামরিক বল তাসাধারণ ছিল। চট্টগ্রামে, মঘ ব্যতীত ত্রিপুরার প্রতিযোগী অন্য কোন প্রবল শক্তি থাকিবার প্রমাণ নাই। পক্ষান্তরে, দামোদর দেব নিজকে ত্রিপুর বিজয়ী বলিয়া ঘোষণা করিয়া থাকিলেও ত্রিপুরায় কিম্বা চট্টগ্রামে র্তাহার কোনরূপ প্রাধান্তের নিদর্শন পাওয়া যাইতেছে না। তিনি চট্টগ্রামে খণ্ড রাজ্যের শাসনকৰ্ত্ত ছিলেন সত্য, কিন্তু ত্রিপুর-শক্তির সম্মুখীন হইবার উপযুক্ত ক্ষমতাশালী ছিলেন বলিয়া মনে হয় না। এমন কি, তাহার রাজধানী কোথায় ছিল, বর্তমানকালে তাহ নির্ণয় করাও দুঃসাধ্য হইয়াছে। প্রকৃতপক্ষে তিনি ত্রিপুর বিজয়ের উপযুক্ত শক্তিসম্পন্ন হইলে, এত অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা তাহাকে বিস্মৃতির আঁধারে বিসর্জন করিতে পারিতাম না। নিশ্চয়ই তাহার পরিচয়সূচক কোন নিদর্শন বিদ্যমান থাকিত । পূর্বোক্ত সমগ্র বিবরণ আলোচনা করিলে স্পষ্টই হৃদয়ঙ্গম হইবে, was so, তাম্র-শাসনের প্রবর্তনকালে সমাজের ছোট বড় সকলেই সরল, বিপৰ্য্যয়ের কথ। ধৰ্ম্মভীরু এবং সত্যনিষ্ঠ ছিল। দানপত্রের স্থায়িত্ব রক্ষার নিমিত্ত দাতা এবং গ্রহীতা উভয় পক্ষেরই সতর্ক দৃষ্টি ছিল ; তদুদ্দেশ্যেই এই কাৰ্য্যে তাম্রফলক ব্যবহৃত হইত। অধিকস্থায়ী এবং পবিত্র বলিয়াই বোধ হয় এই ধাতুর ব্যবহার চলিয়াছিল। এই পন্থা যে কৃত্রিম দানপত্র প্রস্তুত পক্ষে নিতান্ত সহজ, দাতা বা গ্রহীতা কোন পক্ষের মনেই সেই চিন্তা স্থান পাইত না। অনেক শাসন, বিশেষতঃ ত্রিপুরার তাম্র-শাসন সমূহ আলোচনায় জানা যাইতেছে, শকের ষোড়শ শতাব্দী পৰ্য্যন্ত দানপত্রে, প্রদত্ত ভূমির চতুঃসীমা লিপি করিবারও প্রয়োজন বোধ হয় নাই, পরিমাণ লিপি করিলেই যথেষ্ট হইত। ভূমির চতুঃসীমা দাতা এবং দান গ্রহীতার জানা থাকিত মাত্র। কিন্তু এমন প্রশস্ত সুযোগ থাকা সত্ত্বেও গ্রহীতা সীমা উল্লঙ্গনপূর্বক ভূমির পরিমাণ বৃদ্ধি করিবার প্রয়াসী হইতেন না। সপ্তদশ শতাব্দী হইতে তাম্রপত্রে ভূমির চতুঃসীমা উৎকীর্ণ করিবার প্রথা প্রবর্তিত হইয়াছে। সমাজের রুচি নিশায়া 蠍 “আণ্ডাজ শ্ৰীমুষণ পিগুনঃ প্রেমভূঃ কৈরালা চুড়ার ত্রিপুর জয়িনং কেলিকারে। নশায়াঃ ।”