পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪১৮

འི༠ • রাজমালা । [डौिन्न আগুয়ান নারায়ণ আর গজভীম । চলিল এসব সৈন্ত পরাক্রমে সীম ॥” উদরমাণিক্য থও—৫৯ পৃঃ । রাজমালার প্রথম ও দ্বিতীয় লহরে এই পৰ্য্যন্ত বিবরণ পাওয়া যায়। পরবর্তী লহর সমূহেও নারায়ণ’ উপাধির বিস্তর উল্লেখ আছে, তাহা যথাস্থানে বিবৃত হইবে। “নারায়ণ’ উপাধিধারী সেনাপতিগণের হস্তে রাজ্যের শাসনভার ন্যস্ত থাকায়, র্তাহাদের প্রভাব অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পাইয়াছিল। তদ্ধেতু ইহাদের সম্বন্ধে নানা ব্যক্তি নানাবিধ মত প্রকাশ করিয়াছেন। সম্রাট আকবরের মন্ত্রী আবুল ফজল বলিয়াছেন,— “Bordering upon Bhatty is a very extensive country subject to the King of Tipperah. + * * him they style Yeyah Manik (Hijoy Manikya) and whoever are possessed of Rajship bear the title of Manik at the end of their names and all the nobility are called Narayan. Their Military force consists of a thousand elephants, two hundred thousands infantry, but they have few or on cavalry.”—Translation of Ayin-i-Akbori by Francis Gladwin P. 298. মৰ্ম্ম —ভাট অঞ্চলে ত্রিপুরা রাজার অধীনে এক বিস্তৃত রাজ্য আছে । বিজয়মাণিক ইহার রাজা । যে কেহ রাজ্যভার প্রাপ্ত হইলেই তাহদের নামের সঙ্গে ‘মাণিক উপাধি সংযুক্ত হয় এবং সন্ত্রান্ত ব্যক্তিগণ নারায়ণ’ উপাধি প্রাপ্ত হইয়৷ থাকে। একসহস্র হস্তী ও দুই লক্ষ পদাতিক তাহাদের সামরিকবল, কিন্তু অশ্বারোহী সৈন্য বিরল। ‘রিয়াজ-উস্-সলাতিন গ্রন্থেও নারায়ণের বিবরণ পাওয়া যায়। এতদ্ব্যতীত তারও অনেকে অনেক কথা বলিয়াছেন, তাহ রাজমালার পরবত্তী লহরে আলোচিত হইবে । চতুর্দশ দেবতার পূজক শ্রেণীর মধ্যে প্রধান পূজকের (চন্তাইর) নিম্নবৰ্ত্তী চতুর্দশ দেবতার ব্যক্তি ‘নারায়ণ’ উপাধি লাভ করিয়া থাকেন। এই উপাধি কি ** " কারণে এবং কোন সময় পূজকের প্রতি প্রযোজ্য হইয়াছিল, তাহ নির্ণয় করা বর্তমানকালে অসাধ্য হইয়াছে । মহারাজ বিজয়মাণিক্যের শাসনকালে সৈনিক বিভাগের পুনর্ববার সংস্কার হয় । এই সময়ও প্রধান সেনাপতিগণের “নারায়ণ’ উপাধি স্থিরতর থাকিবার প্রমাণ পাওয়া যায়। এতদ্ব্যতীত পাঠান সৈন্য দ্বারা অশ্বারোহী দল গঠন এবং খাড়াইত উপাধিধারী নূতন সৈনিক-বল গ্রহণ দ্বারা মহারাজ বিজয় সৈনিক বিভাগকে স্বধৃঢ় করিয়াছিলেন। খাড়াইত সম্বন্ধীয় বিবরণ নিম্নে প্রদান করা হইল । খাড়াইত বা খাড়াতিয়া । মহারাজ বিজয়মাণিক্য খাড়াইত সম্প্রদায় নিযুক্ত দ্বারা ত্রিপুরার সৈনিক বিভাগ বিশিষ্টরূপে পুষ্ট করিয়াছিলেন। রাজপুরী রক্ষা করা ইহাদের প্রধান কাৰ্য্য হইলেও, প্রয়োজন মতে সমরক্ষেত্রে অবতীর্ণ হওয়াও কৰ্ত্তব্য মধ্যে পরিগণিত ছিল। বিজয়মাণিক্যের বঙ্গাভিযানকালে তাহার সঙ্গে দুই খাড়াইত উপাধি ।