পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శిఖాచి রাজমালী । s ঞ্চিতীয় অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত নলিনীকান্ত ভট্টশালী মহাশয় মনে করেন, উরুয়া রাজা’ শব্দ রাজেন্দ্র চোলের প্রতি ব্যবহৃত হইয়াছে । এই বাক্যের প্রতি দৃঢ় নির্ভর করিবার উপায় নাই, অথচ উপেক্ষা করিবার যোগ্য প্রমাণও দেখা যায় না। উড়িষ্যা প্রদেশে এক সময় খণ্ডাইত সম্প্রদায়ের সংখ্যা এবং প্রভাব অত্যন্ত বৃদ্ধি পাইয়াছিল। এই সম্প্রদায় নানাজাতীয় লোকের সমবায়ে গঠিত হইয়া থাকিলেও প্রাধান্যহেতু ইহারা ত্রিপুরার কাঠিছোঁয়া সম্প্রদায়ের স্থায় একটা স্বতন্ত্র জাতিতে পরিণত হইয়াছে। উক্ত প্রদেশে খড়গধারী সৈন্যদল খণ্ডাইত নামে খ্যাতি লাভ করিয়াছিল। ইহারা ক্ষত্রিয় বলিয়া আত্মপরিচয় প্রদান করিয়া থাকে । ছোটনাগপুরেও এই জাতির অস্তিত্ব পাওয়া যায়, তাহারা বলিয়া থাকে, ইহাদের পূর্বপুরুষগণ উড়িষ্যা হইতে আসিয়াছিল। খণ্ডাইতগণের উপাধি দ্বারা তাহাদিগকে যোদ্ধৃপুরুষ বলিয়াই বুঝা যায়। উড়িষ্যার খণ্ডইতগণের মধ্যে উত্তর কবাটু, দক্ষিণ কবীট, গড় নায়েক, সিংহ, দেীবারিক, নায়েক, বাঘ, বাহুবলেন্দ্র, মহারথী, মল্ল, রণসিংহ, সামন্ত, সেনাপতি প্রভৃতি উপাধি পাওয়া যায়। ইহারা প্রধানতঃ বড় ঘরি ও ছোট ঘরি, এই দুই শ্রেণীতে বিভক্ত। প্রত্যেক বিভাগের আবার অনেকগুলি উপবিভাগ আছে, এস্থলে তাহার আলোচনা নিম্প্রয়োজন । ইহাদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উচ্চ-নীচতা আছে । কোন কোন সম্প্রদায়ের অন্ন অন্য সম্প্রদায় গ্রহণ করে না। কিন্তু ব্রাহ্মণগণ সকল সম্প্রদায়েরই জল গ্রহণ করিয়া থাকেন। এই জাতির অধিকাংশ লোক বৈষ্ণবধৰ্ম্মাবলম্বী। ইহারা বৰ্ত্তমানকালে যুদ্ধ ব্যবসায়ী না হইলেও তরবারীর প্রতি উপাস্ত দেবতার স্যায় সম্মান প্রদর্শন করিয়া থাকে, ইহা অতীত শৌর্য্যের লুপ্তপ্রায় চিন্তু বলিয়াই মনে হয় । নাজির। এই উপাধি মহারাজ বিজয়মাণিক্যের শাসনকালে প্রথম প্রবৰ্ত্তিত হইয়াছিল । এবং এই উপাধিধারী কালা নাজিরের নাম সর্ববপ্রথম পাওয়া “ত্রিপুর রাজার থানা শ্ৰীহট্টে বৈসাইল । কালা নাজির ত্রিপুর থানাতে রহিল ॥ বিজয়মাণিক্য থও—a3: পার্বত্য সিপাহীদ্বারা সংস্থাপিত গারদ এবং পর্বত-বাসী সৈনিকবৃন্দের পরিচালন ভার র্যাহার হস্তে অপিত হইত তিনি নাজির উপাধি লাভ করিতেন, ইহা পূর্বেই বলা হইয়াছে। রাজার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কান্বিত ব্যক্তিগণ এই পদের অধিকারী ছিলেন । নাজির উপাধি ।