পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তীয় ૨રv রাজমালা । [ वि “পুষ্টে বিশালঃ সদস্তঃ সৎকারোহপি শুভোহপি সন । ন রণে সাহসে যস্ত স নিঃ সত্বো গজাধমঃ ॥ সৰ্ব্বেষাং গজ দোষাণামুক্ত এব মহানয়ম । যেনৈকেন গুণা: সৰ্ব্বে তৃণায়ন্তে সুনিশ্চিতম ॥২০৷” যে হস্তীর দেহ পুষ্ট এবং বিশাল, দস্তদ্বয় সুন্দর, যে হস্তী রণে সাহসহীন, সেই অধম হস্তীকে নিঃসত্ত্ব বলে । হস্তীর যত প্রকারের দোষ উল্লেখ করা হইয়াছে, তন্মধ্যে ইহার দোষ সর্ববাপেক্ষা প্রধান । বিংশতি প্রকার দুষ্ট হস্তীর লক্ষণ ও দোষ মোটামুটী ভাবে বর্ণিত হইল। গাগ্য প্রভৃতি ঋষিগণের মতে আরও নানাবিধ লক্ষণযুক্ত দুষ্ট হস্তী আছে, এ স্থলে তাহার সম্যক উল্লেখ করা অসম্ভব। রাজগণের পক্ষে দুষ্ট হস্তী দর্শন করাও নিষিদ্ধ। দৈবাৎ দর্শন করিলে, সেই দোষ প্রশমনের নিমিত্ত হোম ও দানাদি কাৰ্য্য সম্পাদন করিতে হয়। এতদ্বিষয়ক শাস্ত্রীয় মত নিম্নে প্রদান করা যাইতেছে । “দোষৈদুষ্টান গজানাজান বীক্ষেত কদাচন। ন্তসেদ্ধ পররাষ্ট্রেষু নগরাৎ ক্রিয়তে বহিঃ ॥ দদ্যাৎ দ্বিজেভ্যঃ শুদ্ধেভ্যো গণাকায়াথবা নৃপঃ। দৃষ্ট, যদি গজান দুষ্টান দস্তাচ্ছঙ্গি শতং দ্বিজে । পুরং নিরাজয়েদ্বাপি আত্মানস্বাথবা সুতম্। দেব স্থক্তেন জুহুয়াদযুতম্বাতি তৎপরঃ ॥ তিলান বা জুহুয়াদয়ে তৎপ্রতীকার হেতবে ।” রাজগণ দুষ্ট হস্তী কদাচ দর্শন করিবেন না । এই প্রকারের হস্তীকে পররাজ্যে গচ্ছিত রাখিবেন, অথবা নগর হইতে বহিষ্কৃত করিবেন। অথবা বিশুদ্ধ ব্রাহ্মণ কিম্বা গণককে দান করিবেন। যদি কোন কারণে দুষ্ট হস্তী রাজার দৃষ্ট্রিপথে পতিত হয়, তবে ব্রাহ্মণকে শত গো দান এবং নগরীকে, নিজকে কিম্বা পুত্রকে নীরাজিত * করিবেন। দেবসূক্ত মন্ত্র দ্বারা হোম কিম্বা তাহার প্রতিকারার্থ অগ্নিতে তিল হোম করিবেন। হস্তীর যে সকল লক্ষণ বলা হইল, হস্তিনীর প্রতিও তাহ প্রযোজ্য । পরাশর সংহিতায় হস্তীর যে সকল লক্ষণ বর্ণিত হইয়াছে, তাহা প্রায় ভোজরাজের বর্ণনারই অনুরূপ। ৰাহুল্য ভয়ে তাহা এই আখ্যায়িকায় সন্নিবেশ করা হইল না। দেশ ও অরণ্য ভেদে হস্তীর আকার ও বর্ণগত পার্থক্য ঘটিয়া থাকে। সেই বিস্তৃত বিবরণ অল্প কথায় বলিবার উপায় নাই। : o হস্তীর পরমায়ু মনুষের সমান, অর্থাৎ ১২০ বৎসর। পূর্বে উৎকৃষ্ট হস্তীর যে সকল লক্ষণ বর্ণিত হইয়াছে, তাহার এক একট লক্ষণের অভাবে হস্তীর • নীয়াজন—ইহা হােম বিশেষ। এই হােমের বিধি, সম্পাদন প্রণালী এবং তজত ফল ইত্যাদি বিষয় কালিকাপুরাণ–৮৬ অধ্যায়, পদ্মপুরাণ–১৯৭ অধ্যায়, স্কন্দপুরাণ, কালোত্তরতন্ত্র এবং হরিভক্তিবিলাস প্রভৃতি গ্রন্থে পাওয়া যায়। দেবতার আরত্ৰি কাৰ্য্যকেও নীরাজন বলা হয়।