পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লহর } i মধ্য-মণি । २९े ১৯ বৎসর হিসাবে আয়ুক্ষয় হইয়া থাকে। সাধারণতঃ ৬০ বৎসর বয়সে হস্তীর এবং ৩• বৎসর বয়সে হস্তিনীর সমস্ত অবয়ব পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়। হস্তী, মনুষ্য সমাজের বিশেষ উপকারী। এই বৃহৎ জন্তুকে ধৃত করিবার প্রণালী, পোষ মানাইবার উপায়, পালন ও ব্যবহারের নিয়ম, ব্যাধি এবং চিকিৎসা ইত্যাদি বিষয়ক অনেক কথা বলিবার আছে, তাহ রাজমালার তৃতীয় লহরে বর্ণিত হইবে । প্রচলিত কিম্বদন্তী । দোয়াপাথর ও শ্বেত হস্তী । রাজমাল। দ্বিতীয় লহরে ‘দোচাপাথর’ নাম পাওয়া যায়। মহারাজ ধন্যমাণিক্য Auna, n কর্তৃক নরবলির সংখ্যা সঙ্কোচনের বিবরণ উপলক্ষে বৰ্ণিত দোয়। পাথর । হইয়াছে,— “পূৰ্ব্বেতে ত্রিপুর রাজা নরবলি দিত। সহস্ৰে সহস্ৰে বঙ্গ বর্ষে কাটা ষাইত ॥ শ্ৰীধন্ত্যমাণিক্য মান তাহাকে করিল। তদবধি নরবলি নিষেধ হইল । তিন বৎসরে এক নর চতুর্দশ দেবে। কালিকাতে এক নর পাইবেক যবে ॥ দোঁচাপাথরে দুই নর শত্রু পাইলে হয় । গোমতীতে দুই বলি ঘটে যে সময় ॥” ধন্ত্যমাণিক্য খণ্ড—২৯ পৃঃ । ‘দোচাপাথর একটা স্থানের নাম ; সাধারণতঃ এই স্থান ‘দোয়াপাথর’ নামে অভিহিত হইয়া থাকে। ত্রিপুরগণ ইহাকে “নানাগোমতী দোয়াপাথর” বলে। ইহা একটা দেবস্থান, ত্রিপুরেশ্বরগণ এই স্থানে সময় সময় বাস্তব্য করিতেন । এই স্থানে দেবার্চনোপলক্ষে প্রতিবৎসর বহুসংখ্যক নরবলি হইত। মহারাজ ধন্যমাণিক্য সেই নিয়ম রহিত করিয়া, সমরক্ষেত্রে ধৃত শক্রগণের মধ্যে দুইটী মাত্র বলি প্রদানের ব্যবস্থা করেন । ‘দোয়াপাথর সম্বন্ধীয় একটা প্রাচীন আখ্যান ত্রিপুরা জাতির মধ্যে প্রচলিত আছে । তৎসঙ্গে শ্বেত হস্তীর জন্মবৃত্তান্তও সংযোজিত হইয়াছে। ব্ৰহ্মদেশ শ্বেত হস্তীর নিমিত্ত প্রসিদ্ধ ছিল, ত্রিপুরায়ও এই জাতীয় হস্তী কচিৎ দেখা যাইত । * যে বস্তু বা প্রাণী দুষ্প্রাপ্য, প্রাচীন সমাজে তৎসম্বন্ধে শ্বেত হস্তীর কথা ।

  • থানাংচিতে একহস্তী ধবল আছিল ।

হেরম্ব রাজায়ে তাকে চাহিয়া পাঠাইল ॥” ইত্যাদি। ধন্তমাণিক্য খণ্ড–১৭.পৃঃ ।