পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

लए ब्र ] মধ্য-মণি ৷ २०३ বিল্বপত্র নাহি ছিল, यऊ-कां* यांनि निल, তারা সবে করে যজ্ঞ-ধুনী। প্রভু বলে সতী আনি দেও মোরে, লতী আনি নাহি দিলে প্রভু বাবে পাতালে,

  • ভক্ত সবে করে হার রে হার । ধনীরাম পাটারী (১) ছিল, সতী আনতে লড় দিল, সতীর পায়ে ধরি

ভক্ত সবে করে গড়াগড়ী ৷ ‘আয়নী’ রে পাইল ভূতে, গাঙ্গ ফিরার (২) উত্তর পাড়ে, তিনশত মানুষের জাত মারল সুরা কাণার পুতে ৷ এক পাতিল সিন্নি রান্ধে, রাড়ি বুড়ি বসি কানো, প্রভু মোরে সিন্নি না দেখাইল । খোয়াজের পুত যায়, হিলাল গাজি নাম তায়, খেজুড়িয়া গ্রাম শালার বাড়ী।” এই কবিতা হইতে এবং স্থানীয় অনুসন্ধানে জানা গিয়াছে, মূনাধিক সত্তর বৎসর পূর্বে, খণ্ডল পরগণার অন্তর্গত কালিকাপুর গ্রামে রামগতির এবং করলীয় টিলায় তাহার পুরোহিত রাধাকান্ত ঠাকুরের বাড়ী ছিল। এই সকল স্থান পূর্বে ত্রিপুর জেলায় ছিল, এখন নোয়াখালী জেলাস্থিত ফেণী মহকুমার অন্তর্গত হইয়াছে। স্থানটী ত্রিপুরা রাজ্যের বিলনীয়া বিভাগীয় আফিসের পশ্চিমোত্তর কোণে এক মাইলের মধ্যে অবস্থিত। রামগতি জাতিতে কায়স্থ ছিল। তাহার পিতার নাম স্বরা কাণ। সম্ভবতঃ এক চক্ষু হীন ছিল বলিয়। সে কাপা’ উপাধি লাভ করিয়াছে, তাহার নাম ছিল সুরমণি কিম্বা স্বরচন্দ্র । কতকগুলি সাধারণ শ্রেণীর লোকের উপর রামগতির বিশেষ প্রভাব ছিল । ‘গেীরা কামার’ নামক এক ব্যক্তি তাহার প্রধান চেলা ছিল, উদ্ধৃত কবিতা আলোচনায় ইহা জানা যাইতেছে । ‘সিদ্ধাবাল এবং ‘চেলা’ শব্দদ্বারা মনে হয়, রামগতি কোন প্রকারের ধৰ্ম্মভাবের দরুণ এই প্রাধান্ত লাভ করিয়াছিল। বর্তমান কালেও কোন (১) পটার-গ্রাম্য তৎপল গেমজাদ (২) গাঙ্গ ফিরা—নদী একপথ ছাড়িয়া অন্ত পথে প্রবাহিত হইলে, পূর্কের যে শুষ্কপ্রাৰ খাত থাকে, তাহাকে গাঙ্গ ফির বলে । \లి) -