পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b | a ফলমূলাশন যে চ কিরাতাশ্চৰ্ম্ম বাসসঃ । ক্রুর শস্ত্রা: ক্রুরকৃতস্তাংশ্চ পশুমাইং প্রভো ॥” ইত্যাদি । সভাপর্ব-৫২ অঃ, ৮-৯ শ্লোক । এ স্থলে ব্রহ্মপুত্রনদের উভয় তীরবর্তী সমস্ত রাজস্যবর্গের উল্লেখ পাওয়া যাইতেছে। অতএব উক্ত নদের উপকূলবৰ্ত্তী ত্রিবেগপতিও (ত্রিপুরেশ্বর) ইহার অন্তর্নিবিষ্ট হইয়াছেন, এ কথা অতি সহজবোধ্য। বিশেষতঃ ত্রিপুরাধিপতির অধীনস্থ কিরাতগণের উপস্থিতিদ্বারাও র্তাহার বিদ্যমানত প্রমাণিত হইতেছে । যে স্থানে ত্রিপুরেশ্বর উপস্থিত নাই, সেই স্থানে তঁহার অধীনস্থ কিরাতগণের উপস্থিতি সম্ভব হইতে পারে না । ত্রিপুর-বংশাবলী প্রক্ষিপ্ত দোষ-দুষ্ট বলিয়ও কেহ কেহ ইঙ্গিত করিতে ছাড়েন নাই । ৬/কৈলাসচন্দ্র সিংহ মহাশয় বলিয়াছেন ;– প্রতি অরে।পিত “মহারাজ রামগঙ্গামাণিকের কৃত ( ১৮০৪ খৃষ্টাব্দের ) বংশাবলীতে দে ষ ও তাই র খণ্ডন। ক্রহ্যের পুত্র ত্রিপুর লিখিত হইয়াছে। চক্ৰধ্বজ ঠাকুর বনামে বীরচন্দ্র যুবরাজ, ১৮৬৩ ইং ৯নং এবং রাজকুমার নবদ্বীপচন্দ্র দেববৰ্ম্মণ বনামে মহারাজা বীরচন্দ্রমাণিক্য বাহাদুর ১৮৭৪ ইং ৩৫নং দেওয়ালী মোকৰ্দমায়, বিবাদী মহারাজ বাহাদুর স্ববংশের যে সুদীর্ঘ বংশাবলী উপস্থিত করিয়াছিলেন, তাহাতেও ত্রিপুর পেছরে দ্রুত্ব’ লিখিত রহিয়t:ছ ; কিন্তু জলতরঙ্গের কৃপায় রাজবংশের ষে অভিনব বংশাবলী প্রকাশিত হইয়াছে, তাহাতে ক্রস্থ্য ও ত্রিপুরের মধ্যে কতগুলি কাল্পনিক নাম সন্নিবেশিত হইয়াছে। একেই আমাদের প্রাচীন ইতিহাস কল্পনা-জালে জড়িত, তাহার উপর আবার এরূপ ঘৃণিত কাৰ্য্য নিতান্তই বিস্ময়জনক ।” কৈলাস বাবুর রাজমালা— ২ ভাঃ, ২ অঃ, ১৫ পৃঃ । মোকৰ্দমায় যে সকল বংশ-পত্রিকা উপস্থিত করা হইয়াছিল, তাহার মুখ্য উদ্দেশ্য আপন আপন স্বত্ব স্থাপন করা । ত্রিপুর হইতে বংশধারা দর্শাইলেই সেই উদ্দেশ্য সাধন হইতে পারে। তৎপূর্ববৰ্ত্তাগণের নামাবলী প্রদান করা নিম্প্রয়োজন বলিয়াই ঐ সকল বংশলতায় তাহা সংযোজিত হয় নাই। তবে, ত্রিপুর রাজপরিবার যে দ্রুহু্যবংশীয়, তাহা দৰ্শাইবার নিমিত্তই ত্রিপুরের নামের পূর্ণেব দ্রুহুর নামটী সন্নিবেশিত হইয়াছে। এতদ্বারা “দ্রুহু্যর পুত্র ত্রিপুর” বলা হইয়াছে, এরূপ ধারণা করিবার কোন কারণ নাই। ইহা দৃষ্টান্তদ্বারা বুঝান অবশ্যক। কৈলাস বাবুর রাজমালার যে পৃষ্ঠায় পূর্বোন্ধত বাক্যাবলী মুদ্রিত হইয়াছে, সেই পৃষ্ঠার পাদটীকায় সংক্ষিপ্ত রাজমালা হইতে তিনিই উদ্ধৃত করিয়াছেন ;– “যবাতি রাজার পুত্র ক্রস্থ্য নাম যার । তান বংশে দৈত্য রাজা চন্দ্রবংশ সার ॥ তাহান তনয় রাজা ত্রিপুর নাম ধৰ্ম্মে ।” রাজমালায় এইরূপ ভাবাপন্ন উক্তি আরও পাওয়া যায়, তাহার একটী এই ;– “ক্রস্থ্যবংশে দৈত্য রাজা কিরাতনগর । অনেক সহস্র ধর্য হুইল অমর ॥