পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و بي إلا বহুকাল পরে ভার পুত্ৰ উপজিল । ত্রিবেগেতে জন্ম নাম ত্রিপুর রাখিল ॥” প্রথম লহর—দৈ ৩্য থওঁ । এই সকল বাক্যদ্বারা পরিক্ষার জানা যাইতেছে, দ্রুন্থার বংশে দৈত্যরাজ জন্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন, ত্রিপুর তাহার পুত্র । সুতরাং ত্রিপুর যে দ্রুহু্যর পুত্র নহেন এবং দ্রুহু ও ত্রিপুরের মধ্যে যে আরও বংশধর ছিলেন, ইহা বুঝতে কষ্ট হয় কি ? কৈলাস বাবু এই সকল বাক্য জানিয়া এবং নিজে উদ্ধৃত করিয়াও কেন যে উপেক্ষ করিয়াছেন, তাহা বুঝা দুষ্কর। আমরা দেখিতেছি, পূর্বোক্তরূপ সংক্ষিপ্তভাবে ংশ বর্ণন করা ত্রিপুরার প্রাচীন প্রথা। পাঁচশত বৎসর পূর্ব রচিত সংস্কৃত রাজমালায় পাওয়া যায় ;— “দ্রুহুরিাজ সুতোজাৎস্ত্রিপুরাখ্যে। মহাবলঃ । 制 তমোগুণ সমাযুক্ত সৰ্ব্ব দৈবাত গৰ্ব্বি ১: ॥” , এ স্থলে ত্রিপুরকে দ্রুহু্যর স্থত বলা হইয়াছে। এই ‘স্থত শব্দর দ্বারা পুত্র না বুঝাইয়া বংশধর বুঝান হইয়াছে। মোকৰ্দমায় উপস্থিত করা . পূৰ্ব্বক্ত বংশ-পত্রিকা ইহারই অনুস্থতিতে প্রস্তুত বলিয়া মনে হয়। রাজরত্নাকরে বর্ণিত বংশানুক্রম এবং আমাদের পূর্ব কথিত সময়ের সহিত পুরুষ সংখ্যার হার আলোচনা করিলে বংশপত্রের প্রতি কোন ক্রমেই প্রক্ষিপ্ত দোষরোপ করা যাইতে পারে না । আর একটা বিষয়ও এ স্থলে উল্লেখযোগ । মহারাজ বীরচন্দ্রমণি.ক্যর শাসনকালে, তঁহার বিরুদ্ধে সাময়িক উত্তেজনার বশবৰ্ত্তী একটা সামজিক দল গঠিত হইয়াছিল। সেই দলের প্রকাশিত “সাময়িক সমালোচনা” নামক পুস্তিকার এক স্থলে লিখিত হইয়াছে ;– মহারাজ কল্যাণমাণিক্যের পূৰ্ব্বে রাজা মুচুং, মাচুং, থাহাম, দানকুরু ধ1, কালা ওর ম৷ প্রভৃতি Aি পুরার রাজগণের নাম শুনিলেও পাৰ্ব্ব Siঃ লিঃ। মনে হয় ।” র্যহারা সম্যক অবস্থা পরিজ্ঞাত নহেন এবং উত্তেজনার বশবৰ্ত্তী হইয়া, রাজ-পরিবারকে গ্লানি-লিপ্ত করাই র্যহাদের উদেশ্য, তাহদের এরূপ মনে হওয়া অস্বাভাবিক নহে। রাজমালা প্রথম লহরের পূর্ব ভাষে দেখান হইয়াছে, ত্রিপুরায় বৰ্ত্তমান রাজবংশের আধিপত্য বিস্তরের পূর্বল ত দশেক্সলাম জাতির প্রাধান্য ছিল ; এই কারণে ত্রিপুর-দরবারে হালাম ভাষার অনেক শব্দ প্রবেশ লাভ করিয়াছে। লিশেষতঃ স্থানীয় রীতি নীতি সৰ্ব্বত্রই সমাজ বা বংশবিশেষের প্রতি প্রভাব বিস্তার করিয়া থাকে। এই প্রভাব অধিবাসীবৃন্দের নাম এবং উপাধির উপর ও সংক্রামিত হয়। ত্রিপুর-বংশাবলী নিবিষ্ট চিত্ত আলোচনা করিলে দেখা যাইবে, ইহার প্রথম ও শেষভাগে ( রাজবংশ সুন্দরবনে বঙ্গর সংশ্র.ব থাকাকালে এবং কিরাতদেশে আগমনের পর, বঙ্গদেশের সহিত পুনঃ ঘনিষ্ঠতা জন্মিবার সময় হইতে ) সকলেরই অর্ষ্য-সমাজ সম্মত নাম পাওয়া যায়। মধ্যভাগে (বঙ্গের সহিত সম্বন্ধ বিচ্ছিন্ন থাকা কালে ) অর্ণ নামের সহিত এক একটী পৰ্ব্ব ত্য ভাষা-জাত উপনাম সংযোজিত