পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

णइब्र ] मश्रा-मणि { ধন্যমাণিক্য —( ৬ পৃঃ—১৫ পংক্তি )। ইনি মহারাজ ধৰ্ম্মমাণিক্যের জ্যেষ্ঠপুত্র। চন্দ্র হইতে অধস্তন ১৫১ ও ত্রিপুর হইতে ১০৬ স্থানীয়। পিতার পরলোকগমনের পর সেনাপতিগণ ইহাকে বঞ্চিত করিয়া, কনিষ্ঠ ভ্রাতা প্রতাপকে রাজা করিয়াছিলেন । কিয়ৎকাল পরে সেই সেনাপতিগণই প্রতাপমাণিক্যকে নিহত করিয়া, ধৰ্ম্মমাণিক্যকে সিংহাসন প্রদান করেন। ইনি রাজা হইয়া দেখিলেন, রাজার অদৃষ্ট সম্পূর্ণরূপে সেনাপতিগণের কৃপার উপর নির্ভর করিতেছে। তিনি কৌশলক্রমে র্তাহাদিগকে বধ করিয়া, ভবিষ্যৎ আশঙ্কা নিবারণ করিলেন। অতঃপর বিশ্বস্ত নুতন সেনাপতি নিযুক্ত ও সৈনিক বিভাগ সংগঠন করিতে যত্নবান হইয়াছিলেন। ইহার শাসনকালে রাজ্যের সীমা বিস্তর প্রসারিত হইয়াছিল। ইনি চট্টগ্রামের অধিকার লইয়া পাঠানগণের সহিত বারম্বার আহবে লিপ্ত হইয়াছেন। বঙ্গেশ্বর হোসেনশাহ ইহার হস্তে পুনঃ পুনঃ পরাভূত হইয়াছিলেন। ইহার সময়ে দেবাৰ্চনায় নরবলির সংখ্যা অনেক হ্রাস করা হয়। মহারাজ ধষ্ঠ বঙ্গভাষার পোষক ছিলেন ; তাহার প্রযত্নে উৎকলখণ্ড এবং জ্যোতিষ শাস্ত্র সম্বন্ধীয় গ্রন্থ বঙ্গভাষায় রচিত হইয়াছিল : সেই সকল গ্রন্থ বর্তমান কালে পাওয়া যাইতেছে না। ইনি 'ত্রিহুত হইতে সঙ্গীতজ্ঞ লোক আনাইয়া, স্বীয় পরিবারবর্গের মধ্যে ও প্রজা সমাজে নৃত্য গীতের প্রচলন করিয়াছিলেন। দেবালয় গঠন ও দেবতা প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি মহারাজ ধন্যের অমান কীৰ্ত্তি। তন্মধ্যে উদয়পুর পীঠস্থানে মন্দির নিৰ্ম্মাণ ও ত্রিপুরাসুন্দরী মূৰ্ত্তি স্থাপনের কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ; ইতিপূর্বে তদ্বিবরণ বর্ণিত হইয়াছে। ইনি বিশেষ স্থখ্যাতির সহিত দীর্ঘকাল রাজ্য শাসন করিয়া, বসন্ত রোগে মানবলীলা সম্বরণ করেন। ১৪৬৩ হইতে ১৫১৫ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত ইহার রাজত্বকাল । ধৰ্ম্মমাণিক্য —(২ পৃঃ—২ পংক্তি ) ৷ ইনি মহামাণিক্যের জ্যেষ্ঠ পুত্র। চন্দ্রের অধস্তন ১৪৯ ও ত্রিপুরের পরবর্তী ১০৪ স্থানীয়। মহারাজ ধৰ্ম্ম পিতা বিদ্যমানে সন্ন্যাসীবেশে তীর্থভ্রমণে রত ছিলেন । পিতৃ বিয়োগের পর রাজ্যে আগমনপূর্বক সিংহাসনারোহণ করেন। কুমিল্লানগরীস্থিত ধৰ্ম্মসাগর ইহার সমুজ্জ্বল কীৰ্ত্তি । ইহার শাসনকালের বিশেষত্ব এই যে, সেই সময়ের মধ্যে যুদ্ধাদি অশাস্তিদায়ক কোন ঘটনা সঙ্ঘটিত হয় নাই এবং প্রকৃতিপুঞ্জ মুখশাস্তিতে কালাতিপাত করিয়াছে। মহারাজ ধৰ্ম্ম ১৪৩১ হইতে ১৪৬২ খৃষ্টাব্দ পৰ্যন্ত রাজত্ব করিয়াছেন। ইহার দ্বারাই . নিৰ্ভয় নারায়ণ –( ৪৫ পৃ-১০ পংক্তি )। ইনি হেড়ম্ব রাজ্যের অধীশ্বর এবং ত্রিপুরাধিপতি বিজয়মাণিক্যের সমসাময়িক ছিলেন। বিজয়মাণিক্য জয়স্তিয়ার বিরুদ্ধে হাড়ি সৈন্য প্রেরণ করিবার পর, জয়স্তিয়ারাজ হেড়ম্বর আশ্রয় গ্রহণ করিলেন। হেড়ম্বপতি নির্ভর নারায়ণের মধ্যবর্তীতায় সেই বিবাদের মীমাংসা হইয়াছিল। নির্ভয় নারায়ণ সম্বন্ধীয় বিস্তৃত বিবরণ পূর্ববর্তী ১৬০—১৬১ পৃষ্ঠায় দ্রষ্টব্য।