পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজমালী । { দ্বিতীয় পিরোজ বা আন্নি ;–( ৭১ পৃঃ—২৪ পংক্তি )। ইনি গৌড়েশ্বরের সেনাপতি ছিলেন। ত্রিপুরেশ্বর উদয়মাণিক্যের শাসনকালে পাঠান-বাহিনী চট্টগ্রামের অধিকার ত্রিপুরার হস্ত হইতে বিচ্ছিন্ন করিয়া লওয়ায়, সেই অধিকার অক্ষুণ্ণ রাখিবার নিমিত্ত বঙ্গেশ্বর, জামাল খাঁ পল্লির সহযোগে ইহাকে চট্টলে প্রেরণ করিয়াছিলেন। পুণ্যবতী —( ৩৯ পৃঃ—৭ পংক্তি )। ইনি ত্রিপুরেশ্বর বিজয়মাণিক্যের মহিষী। রাজমালায় পাওয়া যায় ;— so “বিজয়মাণিক্য নাম হইল নরপতি । তাহান মহাদেবী নাম ছিল পুণ্যবতী।" বিজয়মাণিক্য খণ্ড । শ্রেণীমালা আলোচনায় জানা যায়, ইহার অপর নাম ছিল—লক্ষীবালা । ইনি প্রধান সেনাপতি দৈত্য নারায়ণের কন্যা ছিলেন। মহারাজ বিজয়, রাজক্ষমতাগ্রাসী দৈত্য নারায়ণের নিধন দ্বারা শাসনের পথ নিষ্কণ্টক করেন। এতদুপলক্ষে মহারাণী পতিকে তীব্র ভৎসনা দ্বারা ব্যথিত এবং দৈত্য নারায়ণের হত্যাকারী মাধবকে রাজার অগোচরে নিহত করায়, মহারাজ ক্ষুব্ধ হইয়া ইহাকে বনবাসে প্রেরণ করিয়াছিলেন । মহারাণী পুণ্যবতী, হোমনাবাদ ও তিফ প্রভৃতি স্থানে ব্রাহ্মণদিগকে বিস্তর ভূমি দান করিয়া গিয়াছেন। প্রচণ্ড উজীর ;–(৪৫ পৃঃ—২৩ পংক্তি)। ইনি বিজয়মাণিক্যের উজীর {মন্ত্রী) ছিলেন । * পাঠান সৈন্যগণের দুই মাসের বেতন প্রদান করিতে বিলম্ব

  • উজীর পদ এবং আরও কতিপয় পদ मूलगषान শাসনের অনুকরণে সৃষ্ট হইয়াছিল। মহারাজ বিজয়মাণিক্যের শাসনকালেই এই সকল উপাধি প্রচলিত হয়। ত্রিপুর বংশাবলী পুস্তিকায় বিজয়মাণিক্য প্রসঙ্গে লিখিত আছে –

“বিজয়মাণিক্য রাজা বুদ্ধিমন্ত ছিল । কৌশল করিয়ী রাজ্য শালিতে লাগিল। উজীয় মুব নাজির কবর আর যে দেওয়ান। ৰক্লয়া হাজারী মুলী ঠাকুর ছদাবান ॥ এ সমস্ত আমলালছ পরামর্শ করি। । ! শালিতে লাগিল রাজ্য কৰি ৰাহারী।” ইত্যাদি। 1 ত্রিপুর রাজ্যে কিরূপ যোগ্যত্র ব্যক্তিকে উজীর নিযুক্ত করা হইত, কৃষ্ণমালা গ্রন্থে তাছাৰ আভাস পাওয়া বা, খা — : · g বিমল কুলেতে জন্ম নে জনার হয়। . দেবেতে দ্বিজেতে ভক্তি বাহার থাকয় । শাস্ত্রেতে পণ্ডিত হয়, হয়ে ধৰ্ম্মে মতি । । এাজয় পালন জানে, জানে রাজনীত্তি।