পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

लझ्ब्र ] प्रथा-प्रणेि । ২৬ মাধব নামক ব্যক্তি স্বারা দৈত্য নারায়ণকে বধ করায়, মহারাণী রাজার অগোচরে পিতৃহন্ত মাধবকে নিহত করিয়াছিলেন । এই কাৰ্য মহারাজের বিরক্তিকর হওয়ায় কিয়ৎকালের নিমিত্ত মহারাণী নির্বাসন দণ্ড ভোগ করেন। অমাত্যগণের অনুরোধে আবার তঁহাকে বনবাস হুইতে ফিরাইয়া আনা হইয়াছিল । লোকতর ক্ষা –( ৭২ পৃঃ–১৯ পংক্তি )। ইনি উদয়মাণিক্যের পুত্র, পিতার পরলোকগমনের পর, জয়মাণিক্য নাম গ্রহণ পূর্বক ত্রিপুর সিংহাসনে সমারূঢ় হইয়াছিলেন । ইহার অল্পকাল পরে সেনাপতি অমর, জয়মাণিক্যের পিসা ও প্রধান সেনাপতি রণাগণকে হত্যা করেন ; এই সূত্রে রাজা ও সেনাপতির মধ্যে মনোমালিষ্ঠ সঙ্ঘটিত হওয়ায়, অমরের পুত্র রাজবল্লভ জয়মাণিক্যের নিধন সাধন দ্বারা সেই মনোমালিস্যের অবসান করিয়াছিলেন। সমরজিত নারায়ণ ;–(৭৫ পৃঃ—৬ পংক্তি )। ইনি রণাগণের ভ্রাতা এবং জয়মাণিক্যের সেনাপতি । অমরদেবের সহিত রণাগণের সংগ্রামকালে অমর কৌশলক্রমে ইহার মস্তক ছেদন পূর্বক ছিন্নমস্তক রণাগণের গড়ে নিক্ষেপ করিয়াছিলেন। রণাগণ ভ্রাতার মস্তক দর্শনে ভীত হইয়া গড় পরিত্যাগ পূর্বক পলায়ম করেন এবং কিয়দিবস লুক্কায়িত অবস্থায় থাকিবার পর, অমরদেব কর্তৃক ধৃত ও নিহত হন। সাহস নারায়ণ –(৭৬ পৃঃ—১৭ পংক্তি)। এই ব্যক্তি সৈনিক বিভাগের সাধারণ কৰ্ম্মচারী ছিলেন। জয়মাণিক্যের সেনাপতি অমরদেবের আদেশে প্রধান সেনাপতি রণাগণের মস্তক ছেদন করিয়া “সাহস নারায়ণ” উপাধি ও সেনাপতি পদ লাভ করিয়াছিলেন । ইহার নাম জানা যাইতে পারে নাই। সুৰ্য্য খাড়াইত –(৫৮ পূঃ-২১ পংক্তি)। বিজয়মাণিক্যের শাসনকালে ‘খাড়াইত বা খাড়াতিয়া’ উপাধিধারী এক শ্রেণীর সৈন্তা রাজার শরীর রক্ষক ছিল । সাতবার ধন্যসাগর প্রদক্ষিণ করিতে সমর্থবান ব্যক্তি ‘খাড়াইত উপাধির অধিকারী হইত। খড়গ, চৰ্ম্ম এবং শূল ইহাদের ব্যবহার্য অস্ত্র নির্দিষ্ট ছিল। খড়গ (তরবারি) ব্যবহারের দরুণই ‘খাড়াইত উপাধি হইয়াছে। বিজয়মাণিক্যের দিগ্বিজয় গমনকালে সূৰ্য খাড়াইত তাহার সহযাত্রী হইয়াছিলেন । শ্ৰীহট্ট জেলার অন্তর্বত্তী চোঁয়াল্লিশ নামক স্থানে মহারাজের অবস্থানকালে সূৰ্য্য খাড়াইত প্রমুখ সৈন্যগণ রাজার অগোচরে নগর লুণ্ঠনে বহির্গত হয়, তৎকালে জনৈক নগরবাসী কর্তৃক সূৰ্য্য খাড়াইত হত হইয়াছিলেন। হাজরা –(৭৭ পৃঃ–২৩ পংক্তি )। হাজরা নাম নহে—উপাধি । দেবমাণিক্যের শাসনকালে এই ব্যক্তি সৈনিক বিভাগে হাজারী ছিলেন। পূর্বে একবার বলা হইয়াছে, যে সৈন্তাধ্যক্ষের অধীনে এক হাজার সৈন্থ্য থাকিত, তিনি “হাজারী” পদবাচ্য হইতেন । এই হাজরা মহারাজ অমরমাণিক্যের মাতামহ এবং বাছাল জাতীয় ছিলেন । বাছালগণ জাতিগত হিসাবে কথঞ্চিৎ হীন হইলেও এই