পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৫০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२\छ 8 রাজমালা । [ দ্বিতীয় পরগণার পূর্বাংশে পতিত হইয়াছে। বিখ্যাত জগন্নাথ দীঘি তিঞ্চ পরগণার বক্ষঃস্থিত কৌস্তুভমণি স্বরূপ। যে সময় চট্টগ্রাম পৰ্য্যন্ত ত্রিপুরার অধিকারভুক্ত ছিল, তৎকালে এই পরগণার নানাস্থানে রাজন্তবর্গের বিশ্রামাগার নিৰ্ম্মিত ও সুবৃহৎ জলাশয় খনিত হইয়াছিল । ত্রিপুরার খাল ;–( ৫৭ পৃঃ—৯ পংক্তি ) ৷ এই খাল শ্ৰীহট্ট জেলার অন্তর্গত জিনারপুর নামক স্থানে মহারাজ বিজয়মাণিক্য কর্তৃক খনিত হইয়াছিল। রাজমালায় পাওয়া যায় ;– “জিনারপুরেতে রাজ খাল কাটি দিল । ত্রিপুরার খাল বলি নাম তার হইল।” বিজয়মাণিক্য থও—৫৭ পৃষ্ঠা ত্রিপুরার জাঙ্গাল —( ৫৭ পৃঃ—৭ পংক্তি ) ৷ শ্ৰীহট্ট জেলাস্থিত তরপ পরগণায় মহারাজ বিজয়মাণিক্যের নিৰ্ম্মিত এক রাস্তা অদ্যপি বিদ্যমান আছে, তাহার নাম ত্রিপুরার জাঙ্গাল। এই রাস্ত বা জাঙ্গাল সম্বন্ধে শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত প্রণেতা মহাশয় বলিয়াছেন ;– “রাজা আচক নারায়ণ (তরপের রাজা ) সম্বন্ধে তরফ অঞ্চলে এখনও অনেক গল্প শ্রীক্ত হওয়া যায়। কথিত আছে যে তিনি বৈষ্ণব ধৰ্ম্মাবলম্বী ছিলেন । পুণ্যপ্রদ বরবক্র (বরাক) নদ র্তাহার রাজধানী হইতে অনেক দূরে থাকিলেও তিনি দ্রুতগামী অশ্বে আরোহণপূর্বক সেই নদে স্নান করিতে যাইতেন। ষে স্থানে তিনি স্নান করিতেন, তাহ অদ্যাপি স্নানঘাট নামে কথিত হয় । ষে পথ দিয়া স্নানে যাইতেন, তাহ “ত্রিপুরার জাঙ্গাল” নামে অভিহিত হয় ।” ইহার পরেই বলিয়াছেন ; “রাজা আচক নারায়ণের বংশ পরিচয়াদি সম্বন্ধে কিছুই জানা যায় না ; তিনি ত্রৈপুর বংশীয় নৃপতি হইলেও হইতে পারেন। তন্নির্মিত পথ “ত্রিপুরার জাঙ্গাল” নামে অভিহিত হওয়ার ইহাই কারণ বলিয়া বোধ হয় ।” শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত—২য় ভাঃ, ২য় খঃ, ৫ম অধ্যায়। কথিত ত্রিপুরার জাঙ্গাল রাজা আচক নারায়ণের নিৰ্ম্মিত নহে, এবং তদ্ধেতু রাস্তার পূর্বোক্ত নামকরণ হয় নাই। এই পথ ত্রিপুরেশ্বর বিজয়মাণিক্যের নিৰ্ম্মিত । রাজমালায় পাওয়া যাইতেছে ;– “ঐহট্টে চলিল রাজা বিজয় মহাবীর ॥ তরপে জাঙ্গাল রাজা বান্ধয়ে আজ্ঞাতে । ত্রিপুরার জাঙ্গাল বলি খ্যাতি হয় তাতে ॥” বিজয়মাণিক্য থও—৫৭ পৃঃ । রাজা আচক নারায়ণ কোন বংশীয় ছিলেন, তাহ নির্ণয় করিবার কোনও সূত্র পাওয়া গেল না। ত্রিপুর রাজ বংশীয় অনেক ব্যক্তি নানা স্থানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজা