পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৫০৩

णश्ब्र ] भथj-मणि । SU ● স্থাপন করিয়াছিলেন, ইনিও সেই বংশীয় কি না, জানিবার উপায় নাই। ত্রিপুরার সমস্ত রাজা ছিলেন, এই মাত্র অনুসন্ধানে পাওয়া যায়। ত্রিহুত ;—(২৯ পৃঃ—১৬ পংক্তি)। ইহা সংস্কৃত তীরভুক্তি শব্দের অপভ্রংশ। ত্রিন্থতের অংশবিশেষ লইয়া মহারাজ নিমির পুত্র মিথি, মিথিলা রাজ্য স্থাপন করেন। ভবিষ্যপুরাণে পাওয়া যায় ;– “নিমেঃ পুত্রস্তু তত্রৈব মিথিনাম মহান স্মৃত: । প্রথমং ভুজবলৈযেন তৈরহুতস্ত পার্শ্বতঃ ॥ নিৰ্ম্মিতং স্বীয় নামা চ মিথিলাপুরমুত্তমম্। পুীজনন সামর্থ্যজনক: স চ কীৰ্ত্তিতঃ ” মৰ্ম্ম ;–নিমির পুত্র মিথি, তীরহুতের এক দেশে স্বনামে মিথিলাপুর নগরী নিৰ্ম্মাণ করেন । পুরজননের সামর্থ্য হেতু তিনি জনক নামে কথিত হন। তদবধি মিথিলার নৃপতিগণ সকলেই জনক উপাধি গ্রহণ করিতেন। * শাস্ত্রগ্রন্থদ্বারা তীরভুক্তি বা ত্রিহুতের সীমা নিম্নলিখিতরূপ নিৰ্দ্ধারিত হইয়াছে ;– “গণ্ডকী তীরমারভ্য চম্পারণাস্তগং শিবে । বিদেহভূঃ সমাখ্যাত তৈরভুক্তাভিধ: স তু ॥” অর্থাৎ—বিদেহ বা তীরভুক্তি দেশ গণ্ডকী নদীর তীর হইতে আরস্ত করিয়া চম্পারণ্যের (চম্পারণ ) শেষ সীমা পর্য্যস্ত বিস্তৃত । এই ত্রিহুত বা মিথিলা রাজ্যে, নিমি হইতে অধস্তন ৫৬ পুরুষ মহারাজ কৃতি পৰ্য্যন্ত রাজত্ব করিয়াছেন। জনক বংশের অবসানের পর নাম্বা দেব নামক জনৈক ক্ষত্রিয় রাজা তীরন্থতের আধিপত্য লাভ করেন। নেপাল রাজ্যের সীমান্তবৰ্ত্তী শিমরা ওন গড় তাহার কীৰ্ত্তি । অছাপি এই দুগের ভগ্নাবশেষ বিদ্যমান আছে। দুৰ্গগাত্রে সংযোজিত শিলালিপির পাঠ এইরূপ ;– “নন্দেন্দু বিন্দু বিধুসম্মিত শাক বর্ষে ১•১৯ তৎ শ্রাবণে সিতদলে মুনি সিদ্ধিতিথ্যাম । স্বতি শনৈশ্চর দিনে করিবৈরি লগ্নে শ্ৰীনান্তদেব নৃপতি বিদধীতবাস্তম্।” এতদ্বারা জানা যাইতেছে, নান্তদেব ১০১৯ শকাব্দে (১০৯৭ খৃঃ) শ্রাবণের শুক্লা সপ্তমী তিথিতে স্বতি নক্ষত্রাত্রিত শনিবারে সিংহ লগ্নে এই দুর্গের প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন । 辭 ১০১১ শক হইতে ১২৪৫ শক পর্য্যন্ত এই বংশের ছয় জন রাজা ক্রমান্বয়ে ত্রিহুতে রাজত্ব করিয়াছেন । তৎপর রাজা ভবসিংহের বংশ এই প্রদেশের অধিনায়ক हे * "আইন-ই-তীরন্থত গ্রন্থের মতে 'জনক' শব্দের অপভ্রংশে জঙ্গ শব্দের উৎপত্তি হইয়াছে ।