পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৫০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Քնն ৰাজমাল; } { দ্বিতীয় ত্রিপুরা ভাষায় দোয়াপাথর ও শ্বেত হস্তী সম্বন্ধীয় একটা আখ্যান প্রচলিত আছে। এই লহরের ২২৯ পৃষ্ঠায় তাহ পাওয়া যাইবে । ধ্বজঘাট ;–(৫৫ পৃঃ—৮ পংক্তি) । ইহা ঢাকা জেলাস্থিত সুবর্ণগ্রামের তান্তর্গত ব্ৰহ্মপুত্র নদের একটা তীর্থঘাট । পরশুরাম এই ঘাটে স্নান করিয়া ধ্বজ রোপণ ও তাহা উৎসর্গ করিয়াছিলেন, তদবধি স্থানের নাম ধ্বজঘাট হইয়াছে। ত্রিপুরেশ্বর বিজয়মাণিক্য সুবর্ণগ্রাম জয় করিয়া এই স্থানে সহস্ৰ সুবৰ্ণধ্বজা স্থাপন ও তাহা ব্রাহ্মণদিগকে দান করায় বিশেষ যশস্বী হইয়াছিলেন । তৎকালে তিনি “ধবজঘাট বিজয়ী” বলিয়া স্বীয় নামে সুবর্ণমুদ্রা প্রস্তুত করেন। o ধ্বজনগর ;–(৬০ পৃঃ—২০ পংক্তি)। মহারাজ বিজয়মাণিক্য ব্রহ্মপুত্রের তীরবর্তী ধবজঘাট হইতে বণিক্য ও র্কাসরি প্রভৃতি নানাজাতীয় শিল্পী ও পণ্য ব্যবসায়ী লোক স্বীয় রাজ্যে শুমানিয়া বিশালগড়ের সন্নিকটে সংস্থাপন করিয়াছিলেন। ধবজঘাট হইতে আনীত ব্যক্তিগণের বসতিস্থান বলিয়া সেই গ্রামের নাম ধবজনগর রাখ} হইয়াছিল । ধৰ্ম্মনগর ;–(৫৯ পৃঃ—৬ পংক্তি ) ৷ এই স্থানের বিবরণ রাজমালা প্রথম লহরের ২৫৭ পৃষ্ঠায় প্রদান করা হইয়াছে। ধৰ্ম্মপুর ;–(৬২ পৃঃ—২৭ পংক্তি)। এই স্থান কোথায় ছিল, বর্তমান সময়ে নির্ণয় করিবার সুবিধা নাই ; সম্ভবতঃ স্থানের নাম পরিবর্তন হইয়াছে। ইহা যে উদয়পুর রাজধানীর সন্নিহিত ছিল, তাহা বুঝা যায়। পঞ্চখণ্ড –(৫৭ পৃঃ—১০ পংক্তি)। শ্ৰীহট্ট জেলার একট পরগণা। ত্রিপুরেশ্বর মহারাজ আদি ধৰ্ম্মপাএর যজ্ঞোপলক্ষে মিথিলা হইতে পাঁচ জন সাগ্নিক ব্রাহ্মণ আগমন করিয়াছিলেন । ইহারা যজ্ঞ সমাপনের পর, রাজার অনুরোধে তদেশে বাস করিতে সম্মত হইলেন । ত্রিপুরেশ্বর এই পঞ্চ তপস্বীকে পাঁচ খণ্ডে বিভক্ত করিয়া যে ভূ-ভাগ প্রদান করেন, তাহাই পঞ্চখণ্ড নামে অভিহিত হইয়াছে। তৎকালে এই প্রদেশ ত্রিপুর রাজ্যের অন্তর্নিবিষ্ট ছিল, কালপ্রভাবে মুসলমানগণের হাত ঘুরিয়া পরে বৃটিশ অধিকারভুক্ত হইয়াছে। পঞ্চখণ্ড সম্বন্ধীয় বিস্তৃত বিবরণ শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত প্রথম ভাগ, বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস দ্বিতীয় ভাগ এবং রাজমালা প্রথম লহর আলোচনা করিলে জানা যাইবে । পঞ্চন্দ্রোণী ;–(৫৫ পৃঃ—৭ পংক্তি)। সাধারণতঃ এই স্থান পাঁচদোণী’ নামে অভিহিত । ইহা ঢাকা জেলার মহেশ্বরদী পরগণাস্থিত একটা প্রসিদ্ধ ও সমৃদ্ধ জনপদ। ত্রিপুরেশ্বর মহারাজ বিজয়মাণিক্য স্ববর্ণগ্রাম জয়ের পর ব্রহ্মপুত্র স্বানান্তে কোনও ব্রাহ্মণকে পাঁচদ্রোণ ভূমি দান করিয়াছিলেন, সেই সূত্রে স্থানের নাম পঞ্চদ্রোণ বা পাঁচদোণা হইয়াছে। রাজমালায় পাওয়া যায় ;– “সেই রাজ্য জমিদার আনয়ে রাজন। পঞ্চত্রোণ ভূমি ক্ৰয় করিল তখন ॥