পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৫০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লহর } भश-भकिी । さ切”。 সেই পঞ্চ দ্রোণ ভূমি ব্রাহ্মণকে দিল । সেই হনে পঞ্চদ্রোণ গ্রাম নাম হৈল ॥ ধবজঘাট সমীপেতে পঞ্চদ্রোণ গ্রাম । বিজয়মাণিক্য রাজা পুণ্যতর ধাম ॥” বিজয়মাণিক্য খগু—২৫ পৃঃ । এতৎসম্বন্ধে স্বৰ্গীয় কৈলাসচন্দ্র সিংহ মহাশয় লিখিয়াছেন ;– “মহারাজ বিজয়মাণিক্য ব্ৰহ্মপুত্রে স্নান করিয়া জনৈক ব্রাহ্মণকে পঞ্চদ্রোণ ভূমি T করিয়াছিলেন, তদনুসারে সেই স্থান অদ্যাপি “পাচদোণা” নামে পরিচিত হইয়াছে।” কৈলাস বাবুর রাজমালা—২য় ভাগ, ৪ অঃ, ৫৮ পৃ: । এই ‘পাঁচদোণা’ নাম অদ্যাপি অক্ষুণ্ণ রহিয়াছে । অতি অল্প পরিমাণ ভূমিদানের নিমিত্ত মহারাজ বিজয় যেরূপ স্মরণীয় হইয়াছেন, বিরাট যজ্ঞ বা দান করিয়াও অনেকের ভাগ্যে তাহা ঘটিয়া উঠে নাই । পদ্মা –(৫২ পৃঃ—১০ পংক্তি)। ইহা নদীর নাম। এই নদী পাবনা ও ফরিদপুর জেলার সীমারূপে প্রবাহিত হইয়া ঢাকা জেলার পশ্চিম পাশ্বে যমুনার সহিত সঙ্গত হইয়াছে। এই সঙ্গম স্থান গোয়ালন্দের সন্নিহিত এবং “বাইশ কোদালিয়ার মোহনা” নামে অভিহিত। এখান হইতে পূর্ববাভিমুখে প্রবাহিত হইয়া মেঘনার সহিত মিলিত হইয়া, বঙ্গোপসাগরে আত্মসমপণ করিয়াছে। দেবী ভাগবত, ব্রহ্মবৈবৰ্ত্ত পুরাণ এবং ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ প্রভৃতি শাস্ত্রগ্রন্থে এই নদীর নাম পাওয়া যায়। ইহার বিক্রমপুরের মধ্য দিয়া প্রবাহিত অংশ “কীৰ্ত্তিনাশা” নামে অভিহিত হইয়। থাকে। চাঁদ রায় ও কেদার রায়ের কীৰ্ত্তিসমূহ ধ্বংসের দ্বারা এই নাম লাভ করিয়াছে। সলরজঙ্গ, মহারাজ রাজবল্লভ সেন রায় রাইয়ার প্রসিদ্ধ কীৰ্ত্তিকলাপ এবং আরও অনেক ক্ষুদ্র ও বৃহৎ প্রাচীন কীৰ্ত্তি কীৰ্ত্তিনাশার উদরসাৎ হইয়াছে। পাটিকার ;–(১৩ পৃঃ—২ পংক্তি )। বৰ্ত্তমানকালে ইহা কুমিল্লা সহরের পশ্চিমদিকস্থ ময়নামতী পাহাড়ের পশ্চিম পাশ্বে অবস্থিত একট পরগণা বিশেষ । এই প্রদেশ অনেক বংশের হাত ঘুরিয়া নানাবিধ অবস্থা পরিবর্তনের পর, ভূ-কৈলাসের রাজবংশের হস্তগত হইয়াছে । প্রাচীনকালে পাটিকারা একটি স্বতন্ত্র রাজ্য ছিল ; মেহেরকুলও এই রাজ্যের অন্তর্নিবিষ্ট থাকিবার নিদর্শন পাওয়া যায়। ত্রিপুরায় প্রাপ্ত লোকনাথের তাম্রশাসনদ্বারা উক্ত প্রদেশে তাহার আধিপত্য স্থাপনের বিষয় প্রমাণিত হইয়াছে । লোকনাথের প্রভুত্ব কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করিয়াছিল, এবং পাটিকার প্রভৃতি জনপদ তাহার অধিকারভুক্ত ছিল কি না, তাহা জানিবার উপায় নাই। কেহ কেহ অনুমান করেন, ইনি শূরবংশীয় রাজাগণের সামন্ত নরপতি ছিলেন, এই কথারও নির্ভরযোগ্য প্রমাণও নাই। উল্লিখিত তাম্রলিপির সময় নির্ণয় সম্বন্ধেও মত বৈষম্য