পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৫১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

獣冷や রাজমালt } { দ্বিতীয় এই বাক্য আলোচনা করিলে, গোবিন্দচন্দ্রের জন্মের পর ময়নামতী পতিসঙ্গ লাভ করিয়াছিলেন কি না, সে বিষয়ে সন্দেহের উদ্রেক হয় । তবে, গোবিন্দচন্দ্রর জন্মগ্রহণের পূর্বে র্তাহার ভগ্নী জন্মগ্রহণ করা অসম্ভব নহে। কুমিল্লার পশ্চিমদিকম্ব ৬ মাইল দূরবর্তী পর্বতমালায় ইহাদের রাজধানী ছিল । এই পর্বতের উত্তরভাগ “ময়নামতী’ এবং দক্ষিণ ভাগ ‘লালমাই’ নামে অভিহিত হইয়া আসিতেছে । সুতরাং লালমতী বা লালময়ী নামে ময়নামতীর কষ্ট থাকিবার কথা কাল্পনিক বলিয়া মনে হয় না । পূর্বোক্ত পর্বতমালার পূর্ব পাশ্বাস্থত ভূ-ভাগ বৰ্ত্তমানকালে ‘মেহেরকুল ও পশ্চিম পাশ্বের ভূ-ভাগ পাটিকার নাম প্রাপ্ত হইয়াছে। সমগ্র অবস্থা আলোচনায় বুঝা যায়, পৰ্ব্বতের উভয় পার্শ্বস্থ বিস্তীর্ণ জনপদ লইয়া কমলাস্ক রাজ্য প্রতিষ্ঠিত ছিল । তাহাই পরবর্তী কলে, পটিকারী, মেহেরকুল প্রভৃতি নামে অভিহিত হইয়াছে। পৰ্ব্বতোপরি রাজধানী স্থাপন কবিয়া উভয় পাশ্বস্থ প্রদেশ শাসন করা হইত। ময়নামতী পাহাড়ের সন্নিহিত নিশ্চিগুপুর গ্রামে বর্তমানকালেও ইষ্টকস্তুপ BB BBS BB BB BBBB SBBBBTBD BBBBB BBB BBBB BB পরম্পরা কিম্বদন্তী চলিয়া আসিতেছে। এখানে যে কখনও বিশিষ্ট ব্যক্তির বাসভবন ছিল, সে বিষয়ে সন্দেহ করিবার কারণ নাই । উক্ত ইস্টকস্তুপের উপর বৰ্ত্তমানকালে নিগমানন্দ স্বামীর আশ্রম প্রস্তুত হইয়াছে। পাহাড়ের উত্তরাংশে ( যে স্থানে ত্রিপুরেশ্বরের বিরাম-ভবন প্রতিষ্ঠিত আছে ) ময়নামতীর ভজনালয় ছিল । বৰ্ত্তমান ত্রিপুরাধিপতি পঞ্চ-শ্ৰীমন্মহারাজ বীরবিক্রমকিশোর মাণিক্য বাহাদুর এই স্থানের কিয়দংশ খনন করাইয়াছিলেন, তখন মুক্তিক গৰ্বে কতিপয় মন্দিরের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়াছে । ইহার পর খনন কাৰ্য্য স্থগিত রাখায়, এই স্থানের প্রকৃত তথ্য উদ্ধারের সুবিধা ঘটে নাই । আমাদের বিশ্বাস, স্থানটা সম্পূর্ণ খনন করা হইলে কোনও অভিনব ঐতিহাসিক তথ্য আবিষ্কৃত হইবে । ময়নামতী পাহাড়ে আরও কয়েকটা প্রাচীনকীৰ্ত্তির নিদর্শন বিদ্যমান আছে, তাহা ত্রিপুর রাজ্যের সম্পাদিত । সেই সকল কীৰ্ত্তির বিবরণ যথাস্থানে সন্নিবেশ করা হইবে । চন্দ্র-রাজগণের বঙ্গদেশে আধিপত্য লাভের কালনির্ণয় করা দুঃসাধ্য হইয়াছে। কেহ কেহ অনুমান করেন, খৃঃ দ্বাদশ শতকের প্রথমভাগে রাজা শ্ৰীচন্দ্র বঙ্গের শাসন দণ্ড ধারণ করিয়াছিলেন । এই কথার নির্ভর যোগ্য কোনও প্রমাণ নাই । যাহা হউক, পাটিকারার রাজা গোবিন্দচন্দ্রের কাল নির্ণয় করাই এ স্থলে আবশ্বক। এ বিষয় তালোচনা করিতে গেলে সুবিজ্ঞ গ্ৰীয়ারসন সাহেবের কথা সর্ববাগ্রে মনে পড়ে। র্তাহার মতে গোবিন্দচন্দ্রের পিতা মাণিকচন্দ্র খৃষ্টীয় চতুর্দশ শতাব্দীতে বিদ্যমান ছিলেন । * শ্রদ্ধেয় সুহৃদ শ্ৰীযুক্ত রায় দীনেশচন্দ্র সেন বাহাদুর

  • Journal, Asiatic Society of Bengal—1878, Part I, No. 3, P. 181.