পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৫৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

చి) · ब्रांख्रमणां । [ दि टीौब्र মহারাজ বিজয়মাণিক্যের শাসন কালে খনিত বিজয়সাগর রত্নপুর মৌজায় অবস্থিত। মহারাজ বীরেন্দ্রকিশোর মাণিক্য, স্বয় পিতার স্মৃতি রক্ষা কল্পে এই স্থানের “রাধাকিশোরপুর’ নাম দিয়াছেন। রসাঙ্গ ;–(২৪ পৃঃ—১৭ পংক্তি)। ইহা আরাকানের নামান্তর। রসাঙ্গ’ মুসলমানগণের প্রদত্ত নাম। পারস্য ভাষায় আরাকানকে ‘আরাখঙ্গ’ ‘রোখাম’ ও ‘রোশাং প্রভূতি নামে অভিহিত করা হইয়াছে। প্রাচীন ঘটককারিকা এবং আওয়ালের পদ্মাবতী গ্রস্থে রোশাং নামের উল্লেখ পাওয়া যায় । রসাঙ্গ বা আরাকান প্রাচীন কাল হইতেই একটী স্বতন্ত্র রাজ্য ছিল । অঞ্চাকানের ইতিহাস ‘রাজোয়াং’ গ্রস্থের মতে এই রাজ্যের দৈর্ঘ্য মেঘনার তীর হইতে পেগু রাজ্যের সীমা পর্য্যন্ত ৩৫০ মাইলেরও অধিক ছিল । রাজোয়াং গ্রন্থে পাওয়া যায়, সুপ্রাচীন কালে কাশীর রাজবংশের কোনও ব্যক্তি আসিয়া এই স্থানে রাজ্য স্থাপন করেন । তাহার পরলোকগমনের পর তৎপুত্র কোমি সিংহ এই রাজ্যের আধিপত্য লাভ করেন । বৰ্ত্তমান চাঁদা সহরের সমীপস্থ রামাবতী বা রামরী নামক স্থানে তিনি রাজপাট স্থাপন করিয়াছিলেন । এই বংশীয় পরবর্তী কোনও রাজার দশজন পুত্রের হস্তে রাজ্যভার পতিত হওয়ায়, তাহারা নানাবিধ অত্যাচার আরম্ভ করেন। প্রজাগণ ইহাদের দৌরাত্ম্যে বিরক্ত হইয়া কয়েকজনকে বধ, এবং অবশিষ্ট ভ্রাতাদিগকে রাজ্য হইতে বিতাড়িত করিয়াছিল । অতঃপর র্ত{হাদের এক ভগ্নী সিংহাসন লাভ করিলেন । তিনি রামাবর্তী হইতে রাজপাট উঠাইয়া আরাকানে নূতন রাজধানীর প্রতিষ্ঠা করেন । এই স্থানে মৌরিয় বংশীয়গণ এবং চন্দ্র সূৰ্য্য নামক রাজার অধস্তন বংশু কতিপয় ব্যক্তি দীর্ঘকাল রাজত্ব করিয়াছেন। ইহাদের পর শান বংশের অভু্যদয় কাল। শানগণের পর পুগান দেশীয় অনুরথ নামক জনৈক রাজা এই প্রদেশ অধিকার করেন । অনুরথ চন্দ্রবংশীয় জনৈক ব্যক্তিকে করদ রাজারূপে আরাকানে স্থাপন করিয়া, স্বদেশে ফিরিয়া গেলেন । এই চন্দ্রবংশীয় রাজা পিংস নগরীতে রাজধানী স্থাপন করিয়াছিলেন । উক্ত করদ রাজ্যের শেষ রাজা মেভূবিলু, স্বীয় মন্ত্রী কর্তৃক নিহত এবং তদ্বারা রাজ্য অধিকৃত হওয়ায়, রাজা মেভূবিলুর উত্তরাধিকারী মেওরেবয়র পুগান সম্রাটের আশ্রয় গ্রহণ করেন । র্তাহার মৃত্যুর পর তৎপুত্র লেট্যামেও, পুগান রাজের সাহায্যে পৈতৃক সিংহাসন প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। র্তাহার রাজধানী পীরণ নগরে স্থাপিত হয়। ইহার পর আরাকান রাজ, হিন্দু, পর্তুগীজ এবং ব্ৰহ্ম-রাজের সহিত অনেকবার আহবে লিপ্ত হইয়াছেন। সেই সকল বিস্তৃত কাহিনী এ স্থলে উল্লেখ করা সম্ভবপর নহে ।