পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৫৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( উ ) চুণ্ট প্রকাশ। ভাদ্র— >ペ)○b- ত্রিপুরাদ | ঐরাজমালা প্রথম লহর—শ্ৰীযুক্ত কালীপ্রসন্ন সেন বিছাভূষণ কর্তৃক সম্পাদিত ও স্বাধীন ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলাস্থ রাজমালা কাৰ্য্যালয় হইতে প্রকাশিত। এই বিরাট গ্রন্থ সঙ্কলন, সম্পাদন, মুদ্রণ ও প্রচ্ছদ পট বন্ধন—সর্বব বিষয়েই রাজসিক ভাব সম্পূর্ণ দেদীপ্যমান, শ্রম সস্কেচ বা ব্যয় সঙ্কোচ নিবন্ধন কোনও বিষয়ে বিন্দুমাত্রও ক্রট ঘটিতে পারে নাই । বিদ্যাভূষণ মহাশয় গ্রন্থখন আমাদিগকে উপহার প্রদান করিয়া গৌরবান্বিত করিয়াছেন। তাহার মত দেশবিশ্রত সাহিত্যিক ও ঐতিহাসিক তানুসন্ধান নিরত পণ্ডিত ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদিত গ্রন্থের সমালোচনার সুযোগ লাভ করা শ্লাঘার বিষয় সন্দেহ নাই। মূল রাজমালা অতি প্রাচীন গ্রন্থ । ইহা সংস্কৃত ভাষায় লিখিত । রাজ রত্নাকর নামে ত্রিপুর রাজ বংশের আর একখানা ধারাবাহিক সংস্কৃত ইতিহাস আছে । এই দুই গ্রন্থের সার সংগ্ৰহ ক্রমে পণ্ডিত প্রবর শুক্রেশ্বর ও বাণেশ্বর শর্মা এবং চন্তাই তুল্লভেন্দ্র নারায়ণ পয়ার ছন্দে বাংলা রাজমালা প্রণয়ন করেন। শ্রীরাজমালায় তাহাই উদ্ধার করা হইয়াছে । বিদ্যাভূষণ মহাশয় পাঁচখন পুরাতন পাণ্ডুলিপি মিলাইয়া বিশেষ সতর্কতার সহিত রাজমালার পাঠোদ্ধার করিয়াছেন । যে সকল স্থলে পাঠান্তর পাইয়াছেন তাহ পাদটীকায় সন্নিবেশ পূর্বক তৎসম্বন্ধে ত{হার নিজের বক্তব্য লিপিবদ্ধ করিয়ছেন । এতদ্ব তীত বহু প্রয়োজনীয় বিবরণ মূলের পশ্চাৎবর্তী টীকায় সন্নিবিষ্ট করিয়া গ্রন্থখানকে প্রকৃত পক্ষে একটা রত্নখনিতে পরিণত করিয়াছেন । রাজ রত্নাকর, কৃষ্ণমালা, শ্রেণীমালা, চম্পকবিজয়, . গাজিনামা প্রভৃতি বহু হস্ত লিখিত প্রাচীন গ্রন্থ, শিলালিপি, তাম্র শাসন ও বিভিন্ন যুগের মুদ্রাদির সাহায্যে পুরাতত্ত্ব সংগ্রহের নিমিত্ত তিনি কি রকম কঠোর পরিশ্রম করিয়াছেন, পুস্তকের প্রত্যেক পৃষ্ঠায় তাহার প্রমাণ পাওয়া যায়। একেই আমাদের প্রাচীন ইতিহাস বিস্মৃতির অতল তলে নিমজ্জিত, তদুপরি শ্রমকুণ্ঠ সৌখীন গবেষণাকারিগণ চতুর্দিকে দৃষ্টিপাত না করিয়াই এমন বিভিন্ন মত লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন যে তৎ সমুদয়ের উপর ভিত্তি স্থাপন করা চলে না । বিদ্যাভূষণ মহাশয় প্রমাণ ও যুক্তিবলে ঐ সমস্ত বিরুদ্ধ মত খণ্ডন ক্রমে প্রকৃত সত্য আবিষ্কারের চেষ্টা করিয়াছেন। রাজমালা প্রধান ভাবে ত্রিপুর রাজগণের বিবরণ ; প্রসঙ্গ ক্রমে রাজ্যের ইতিবৃত্তমূলক ষে সকল বিষয় উত্থাপিত হইয়াছে , সম্পাদক মহাশয় সমস্তই অতি দক্ষতার সহিত আলোচনা করিয়াছেন। কাজেই ইতিবৃত্ত হিসাবেও ইহা অতি মূল্যবান গ্রন্থ হইয়াছে তাহা বলাই বাহুল্য। t বাংলা রাজমালা ৬ বারে রচিত হইয়াছিল, তাহার প্রত্যেকটকে এক একটা লহর বলা হইয়াছে। আলোচ্য গ্রন্থে কেবলমাত্র প্রথম লহর প্রকাশিত হইয়াছে। আমরা আশা করি পণ্ডিত মহাশয় যথাসস্তুল সত্ত্বর বক্রী পাঁচ লহর প্রকাশ করিয়t