পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هself দ্বারা সস্তুষ্ট করিয়া, মাণিক্য’ উপাধিলাভে নিজকে গৌরবান্বিত মনে করিলেন, কিন্তু অন্যায় স্বার্থের বশবৰ্ত্তী হইয়া, পূর্বপুরুষগণের কষ্টার্জিত অমূল্য স্বাধীনতা-মণিকে কত স্নান করা হইল, তাহা তিনি বুঝিলেন না। এই ঘটনা হইতেই ত্রিপুরার অবস্থা বিপৰ্য্যয়ের সূত্রপাত হইয়াছিল। p ইহার পরেও ত্রিপুরেশ্বরগণ প্রতিনিয়ত ঘাত প্রতিঘাত সহ করিয়া, স্বাধীনতা ..., A এবং স্বাতন্ত্রা রক্ষা করিতে পশ্চাৎপদ হন নাই । রাজমালা প্রথম পরিবর্তন বিষয়ক লহরের কালে রাজ্যের যে সীমা নিৰ্দ্ধারিত ছিল, রাষ্ট্র বিপ্লবের ফলে "" বারম্বার তাহার পরিবর্তন ঘটিয়াছে। কোন কোন প্রদেশ পুনঃ পুনঃ ত্রিপুরার হস্তগত ও হস্তচু্যত হইয়াছে ; কিন্তু কোন সময়েই হৃত-ভূভাগ পুনরাদ্ধারের চেষ্টায় ক্রট ঘটে নাই। মহারাজ ধন্যমাণিক্য, মেহেরকুল, পাটিকারা, গঙ্গামণ্ডল, বগাসারি, বরদাখাত ও খণ্ডল প্রভৃতি ভূ-ভাগ এবং শ্রীহট্টের হৃত অংশ পুনৰবার অধিকার করিয়াছিলেন । এতদ্ব্যতীত লুসাই প্রভৃতি কুকি প্রদেশ, চট্টগ্রাম এবং রসাঙ্গে ( আরাকাণ ) ত্রিপুরার অধিপত্য পুনঃ সংস্থাপিত হইয়াছিল। দেবমাণিক্য ভুলুয়া রাজ্য বিজয় দ্বারা রাজ্যের নস্টোদ্ধার করিয়াছিলেন। বিজয়মাণিক্য গঙ্গাতীর পর্য্যন্ত অধিকার করিবার প্রমাণ পাওয়া যায়। খাসিয়া, শ্ৰীহট্ট, সুবর্ণগ্রাম এবং ভূষণ প্রভৃতি অঞ্চলে তঁহার অধিকার পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। ইছামতী ও পদ্মা নদীর তীরে এবং অন্তস্য নানা স্থানে তঁহার সেনানিবাস স্থাপিত: তইণার নিদর্শন পাওয়া যায়। এই সময় রাজ্যের সীমা কতদূর প্রসারিত হইয়াছিল, সঙ্গীয় মানচিত্রে তাহার আভাস পাওয়া যাইবে । কিন্তু এই আধিপত্য অধিক সময় স্থায়ী হয় নাই, পাঠান জাতির অভু্যত্থানের সময় হইতে উত্তরোত্তর অনেক প্রদেশ ত্রিপুরার কুক্ষিচ্যুত হইয়াছে। মুসলমানগণের সহিত ত্রিপুর শক্তির যে সকল সংগ্রাম হইয়াছে, তন্মধ্যে ... গৌড়েশ্বর হোসেন শাহের সঙ্গে ত্রিপুরেশ্বর ধন্তমণিক্যের যুদ্ধের গোড়েশ্বর হোসেন কথাই বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ক্রমান্বয়ে দুইবার ত্রিপুরা श्रृं{ङ् । আক্রমণ করিয়া হোসেন শাহ সম্পূর্ণরূপে পরাভূত এবং বিষম ক্ষতিগ্রস্থ হইয়াছিলেন। ত্রিপুর সেনাপতি রিয়াং জাতীয় রায়কাচাগ ও রায়কছম নামক সহোদর দ্বয়ের বাহুবলই তৎকালে ত্রিপুরার প্রধান সম্বল এবং স্থদুঢ় শক্তি মধ্যে পরিগণিত ছিল । রায়কাচাগ এরূপ পরাক্রান্ত ছিলেন যে, মেকেঞ্জি সাহেব ভঁহাকে ত্রিপুরার রাজা ভ্ৰমে চয়চাগমাণিক্য বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন। ইনি হোসেন শাহের পরাজিত সেনাপতি হইতে একটা তোপ ও একটা ধাতু নিৰ্ম্মিত পতাকা বলপূর্বক গ্রহণ করিয়াছিলেন। তোপটা লম্বায় ৯-২ ইঞ্চি। ইহার অগ্রভাগের বেড় ২-৮ ইঞ্চি এবং গোড়ার বেড় ২ – ১০ ইঞ্চি। মুখের ব্যাস ১১ ইঞ্চি । গুলি নির্গমনের রন্ধের ব্যাস ৩ ইঞ্চি । তোপট সুদীর্ঘকাল উদয়পুরে প্রাচীন গারদের সন্নিহিত জঙ্গলে পতিতাবস্থায় ছিল, স্বৰ্গীয় মহারাজ