পাতা:শ্রীরাজমালা (প্রথম লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Φυη ο অবনতি ঘটিয়াছিল, ইহা বুঝা যায়। মহারাজ দৈত্যের পুত্র ত্রিপুরের চরিত্রই ইহার সুস্পষ্ট প্রমাণ। রাজমালায় পাওয়া যায়— “জন্মাবধি না দেখিল ৰিঙ্গ সাধুধৰ্ম্ম । সেই হেতু ত্রিপুর হইল ক্রুর কৰ্ম্ম । দান ধৰ্ম্ম না দেখিল ছাগম পুরাণ । বেদশাস্ত্র না পঠিল নাহি কোন জ্ঞান ৷” हेङjांज़ि । এই উক্তিত্বারা ব্রাহ্মণের অভাব স্পষ্টতঃ প্রমাণিত হইতেছে। সেকালে দণ্ডিগণই ইহাদের পৌরোহিত্য কাৰ্য্য সম্পাদন দ্বারা জাতি ও ধৰ্ম্ম রক্ষা করিয়াছিলেন। কিন্তু ত্রিপুরেশ্বরদিগকে এই অভাব দীর্ঘকাল ভোগ করিতে হয় নাই । ত্রিপুরের পুত্র ত্রিলোচনের সময় হইতে রাজ্যমধ্যে ব্রাহ্মণোপনিবেশের সূত্রপাত হইয়াছিল। রাজমালায় ত্রিলোচন খণ্ডে লিখিত আছে,— "মুখ্যাতি শুনিয়া আসে নীনাদেশী দ্বিজ । ত{হাতে শিখিল বিদ্যা ষত পাই বীজ ॥” অতঃপর ক্রমশঃ ব্রাহ্মণোপনিবেশ বৃদ্ধি পাইলার বিস্তর প্রমাণ রাজমালয় পাওয়া যাইবে । এই সময় হইতে রাজস্যবর্গ দান ও ষজ্ঞাদি ধৰ্ম্মকৰ্য্যামুষ্ঠান দ্বারা বিশেষ প্রসিদ্ধিলাভ করিয়াছিলেন ; সেই স্মরণাতীত কালের অনাবিল ধৰ্ম্ম-স্রোত অদ্যাপি অক্ষুন্নভাবে ত্রিপুররাজ্যে প্রবাহিত হইতেছে। প্রাচীন রাজস্যবর্গের কাল নির্ণয় করা নিতান্ত ই দুঃসাধ্য প্যাপার ; অনেক চোট। করিয়াও তাহার কোনরূপ সূত্র পাওয়া যায় নাই। পরবর্তী কতিপয় রাজার সময় নির্ণায়ক একখানা প্রাচীন তালিকা আগরতলাস্থিত উজীর ভবনে পাওয়া গিয়াছে। তাহা আলোচনায় জানা যায়, সেকালে অঙ্কপাতের এক বিশিষ্ট প্রণালী প্রচলিত ছিল। দুইট অঙ্কের মধ্যবৰ্ত্তী শূন্য (০) লিপিকরা হইত না, শূন্তের স্থানে কিঞ্চিৎ ফাক রাখা হইত মাত্র। এস্থলে সংযোজিত তালিকার প্রতিকৃতিতে দৃষ্ট হইবে, মহারাজ রাজধর মাণিক্যের সিংহাসন লাভের কাল ১৫০২ শক স্থলে ১৫ ২’, রত্ন মাণিক্যের রাজ্যাভিষেক কাল ১৬১৭ শক স্থলে ১৬৭, মহারাণী জাহ্নবী মহাদেবীর শাসনকাল ১৭৯৫ শক স্থলে ‘১৭ ৫ এবং মহারাজ রাজধর মাণিক্যের (২য়) রাজ্যলাভের কাল ১৭০৭ শক স্থলে ‘১৭ ৭ অঙ্কপাত করা হইয়াছে। প্রাচীন শিলালিপি এবং ইষ্টক গাত্রেও এই প্রণালীর অঙ্ক উৎকীর্ণ হইবার প্রমাণ পাওয়া যায়। ইহা হইল ছুই ব্ৰাহ্মনোপলিৰেশের স্বত্রপাত । ब्रजनं८+ब्र कांज बि4ग्न 亨利西:死t町1