পাতা:শ্রীরাজমালা (প্রথম লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/২৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজমালা [ প্রথম والألا কারুকার্য্যের যথার্থ মূল্য বুঝিয়াছিলেন। তাই তাঙ্গ নিজে না রাখিয়া, বুটশ মিউজিমের শিল্প সংগ্রহ বিভাগে প্রদান করিয়াছেন। স্বৰ্গীয় মহারাজ রাধাকিশোর মাণিক্যের শাসনকালে, তাহার A. D. C, কর্ণেল মহিমচন্দ্র ঠাকুর মহাশয় স্বৰ্গীয়া মহারাণী তুলসীবতী মহাদেবী হইতে, পোষাকের সহিত ব্যবহারের নিমিত্ত রিয়ার আদশে বয়িত একখানা Sash পাইয়াছিলেন। লর্ড কার্জন (Lord Curzon) ভারতের রাজপ্রতিনিধি পদে নিযুক্ত থকা কালে, সেই sash লইয়া কর্ণেল মহাশয় স্বৰ্গীয় মহারাজা বাহাদুরের অমুচররূপে বড়লাটের দরবারে গমন করেন। তখন বড়লাট বাহাদুর সেই sash বিশেষ ভাবে নিরীক্ষণ করিয়া জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন , "ইহা কোন দেশে প্রস্তুত হয় ?” তাহা ত্রিপুরায় বয়ন করা হয় শুনিয়া, তিনি তদেশীয়গণের শিল্পনৈপুণ্যের বিস্তর ংসা করিয়াছিলেন । স্থূলকথা, বারাণসীধামের উৎকৃষ্ট কিংখাপ অপেক্ষাও ত্রিপুররাজ্যের অনেক রিয়া উৰ্দ্ধেস্থান পাইবার যোগ্য। আনন্দের বিষয় এই যে, সেই সকল উৎকৃষ্ট রিয়া রাজপরিবার এবং ঠাকুর পরিবারের মহিলাগণই বয়ন করিয়া থাকেন। এই উচ্চ আদশের শিল্প যাহাতে জীবিত থাকে, সাধারণের তৎপক্ষে বিশেষ যত্নবান হওয়া সঙ্গত এবং কৰ্ত্তব্য । বয়ন শিল্প ব্যতীত চিত্রশিল্প, তক্ষশিল্প, এবং কাষ্ঠ, বাশ, বেত ইত্যাদি দ্বারা রচিত শিল্পের নিমিত্তও ত্রিপুররাজ্য প্রসিদ্ধ। এই সকল শিল্পের উত্তরোত্তর উন্নতিকল্পে যত্নবান হওয়া একান্ত সঙ্গত বলিয়া মনে হয়। রাজসরকারের সাহায্য ও চেষ্টা ব্যতীত এ সকল শিল্প রক্ষা পাওয়া ও উন্নত হওয়া অসম্ভব।