পাতা:শ্রীরাজমালা (প্রথম লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/২৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উত্তরাধিকারী নিৰ্ব্বাচন পদ্ধতি। বঙ্গদেশে উত্তরাধিকারী নির্বাচন ও তাহদের মধ্যে সম্পত্তি বিভাগ বিষয়ে দায়ভাগই একমাত্র অবলম্বনীয়। ভিন্ন ভিন্ন শাস্ত্র গ্রস্থে এতদ্বিষয়ক বিভিন্ন ব্যবস্থা থাকিলেও তৎসমুদয় আলোচনা করিয়া দায়ভাগ প্রণেতা যে মীমাংসায় উপনীত হইয়াছেন, এতদ্দেশে তাহাই সৰ্ব্বতোভাবে গ্রাহ। দৃষ্টান্ত স্বরূপ এস্থলে একটা কথার উল্লেখ করা যাইতে পারে। মমু বলিয়াছেন ;— Q 'জ্যেষ্ঠ এবতু গৃহীয়াং পিত্র্যং ধনমশেষতঃ । শেষাস্তষুপজীবেন্নুর্ধ্যখৈৰ পিতয়ং তখ।” মৰ্ম্ম ;–পিতার মৃত্যুর পর জ্যেষ্ঠই সর্বধনাধিকারী হইবে, অবশিষ্ট ভ্রাতৃগণ পিতৃবং সেই জ্যেষ্ঠের অমুজীবী হইবে। এবম্বিধ স্পষ্ট ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও জ্যেষ্ঠ শব্দের দায়ভাগের ব্যাখ্যানুসারে সকল ভ্রাতাই পৈত্রিক সম্পত্তিতে সমান অধিকার লাভ করিয়াছে । পুত্র ও পৌত্রাদির অভাবে দৌহিত্র এবং ভাগিনেয় প্রভৃতিও সম্পত্তির অধিকারী হইয় থাকে। এতদ্ব্যতীত আরও অনেক প্রকারের দায়াদ নির্দিষ্ট হইয়াছে, এস্থলে তাহ সম্যক আলোচনা করা অসম্ভব । ত্রিপুর রাজ্যে প্রকৃতি পুঞ্জের মধ্যে একমাত্র দায়ভাগের ব্যবস্থমুসারেই উত্তরাধিকার নির্ণীত হইয়া থাকে। কিন্তু রাজ্যের অধিকারী নির্বাচন সম্বন্ধে দায়ভাগের বিধান সম্যক প্রযোজ্য নহে ; কারণ, রাজত্ব অবিভাৰ্যা : এবং তাহার উত্তরাধিকারী নির্বাচন কৌলিক প্রাচীন প্রথার উপর নির্ভর করে। বিশেষতঃ উক্ত প্রথানুসারে ভিন্নবংশীয় ব্যক্তির ( দৌহিত্র প্রভৃতির) রাজ্যের উপর দাবি বৰ্ত্তাইবার অধিকার কোন কালেই ছিল না, বৰ্ত্তমান কালেও নাই । প্রাচীন কালে (রাজমালা প্রথম লহরের অন্তভুক্ত সময়ে) রাজার জ্যেষ্ঠ 4 রাজ্যাধিকারী ছিলেন ; জ্যেষ্ঠের অভাবে তৎপরবর্তী পুত্র সিংহাসন লাভ করিতেন। রাজার পুত্র না থাকিলে ভ্রাতার দাবি অগ্রগণ্য হইত। কচিৎ ইহার ব্যত্যয় ঘটিয়া থাকিলেও তাহা কৌলিক প্রথা নহে। কিন্তু রাজা নির্বাচন সম্বন্ধে প্রকৃতি পুঞ্জের অসাধারণ ক্ষমতা ছিল, এবং সেই অমোঘ ক্ষমতার নিকট অনেকস্থলে >\o में ब्रिछltशब्र विषांब विरुग्रक कष।