পাতা:শ্রীরাজমালা (প্রথম লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/২৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৮ রাজমালা স্বহস্তে রন্ধন করি ভোজন করশ্ন । দেৰত পূজিতে ভক্তি তারা অতিশয়।" এবম্বিধ শুদ্ধাচারী, সংসারত্যাগী যতিদিগকে সমুদ্রের দ্বীপ হইতে আনিয়া চতুর্দশ দেবতার পূজক করা হইয়াছিল। তাহার কোন দ্বীপে ছিলেন, বর্তমান কালে তাহা নির্ণয় করা দুঃসাধ্য। জনপ্রবাদে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরের অঙ্কস্থিত আদিনাথ তীর্থ হইতে ইহাদিগকে আনা হইয়াছে ; এ কথা প্রকৃত কিনা, বর্তমান পূজকগণ তাহা বলিতে চায় না। লঙ সাহেবের মতে, এই সকল বিষয়-বিরত দণ্ডিদিগকে সগরদ্বীপ হইতে আনা হইয়াছিল।* সুন্দরবনের সন্নিহিত দ্বীপে কপিলাশ্রম থাকিবার প্রমাণ পাওয়া যায়। লঙ সাহেব সম্ভবতঃ সেই দ্বীপকেই লক্ষ্য করিয়াছেন এবং ইহা সত্য হইবার সম্ভাবনাই অধিক। সগরদ্বীপের সহিত ত্রিপুরার ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ থাকিবার কথা পূর্ববভাষে বলা হইয়াছে। দেওড়াই ব্যতীত, গালিম বা ঘালিম প্রভৃতি কতিপয় সম্প্রদায়ের লোক পুরুষানুক্রমে দেবালয়ের কার্য্যে নিযুক্ত আছে, ইছারাও পূর্বোক্ত শ্রেণীর বংশধর। ইহঁদের প্রত্যেক সম্প্রদায়ের কৰ্ত্তব্য নিৰ্দ্ধারিত রহিয়াছে। ইহারা সকলেই রাজসরকারী বৃত্তিভোগী কৰ্ম্মচারী বা সেবাইত। ইহঁদের বংশধর ব্যতীত অন্য কোন ংশীয় লোকের এই সকল কাৰ্য্য করিবার অধিকার নাই। তাহদের বংশ হইতে যোগ্যতানুসারে লোক নির্বাচিত হয় এবং সাধুতা ও যোগ্যতা বলে ক্রমশঃ চন্তাইর পদও লাভ করিয়া থাকে । த் চতুর্দশ দেবতা যে আর্য্যগণের পূজিত বিগ্রহ, এবং এই বিগ্রহের পূজকগণ মূলতঃ যে পার্বত্য জাতি নহে, পূর্ব আলোচনা দ্বারা বোধ হয় তাহা নিরাকৃত হইয়াছে। এই বিগ্রহের পূজাপদ্ধতিও এস্থলে আলোচ্য, কিন্তু দুঃখের কথা এই মে, চন্তাইগণ পূজার মূল প্রণালী এবং মন্ত্রাদি কাহারও নিকট প্রকাশ করেন না ; সুতরাং তাহা সম্যক সংগ্রহ করা তাসাধ্য। আগরতলা মহাফেজখানায় রক্ষিত একখানা হস্তলিখিত পুরাতন পুথি পাওয়া গিয়াছে, তাহতে দেবতাসমূহের ধ্যানের মৰ্ম্ম বঙ্গভাষায় লিখিত আছে ; তাহ আলোচনা করিলে, এই দেব তার প্রকৃত পরিচয় পাওয়া যাইবে । উক্ত পুথিতে লিখিত বিবরণ নিম্নে প্রদান করা যাইতেছে। ধৰ্ম্মমাণিক্য বলিলেন—“যে কুলোচিত খার্চিপূজার বিষয় কথিত হইল, তাহাতে মন্ত্র, অঙ্গস্যাস, করন্যাস এবং ধ্যান কিরূপ ? বৈদিক, তান্ত্রিক, পৌরাণিক, [ প্রথম Trilochan sent a messenger Dandi’s to the or priests of the famous College of Mahad va in Sagar island, J. A. S. B.-Vol. XIX.