পাতা:শ্রীরাজমালা (প্রথম লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজমালা [প্রথম سرا) ۵ করা হয় নাই, এবং প্রাচীন উপকরণ যতদূর সম্ভব স্থিরতর রাখা হইয়াছে। কেহ नि१हांनtनग्न ਾਂ` বলেন, পূর্বে সিংহাসন চতুষ্কোণ ছিল, আকার পরিবর্তন नहे इग्न माझे ! করিয়া অষ্টকোণ করা হইয়াছে। আবার, কেহ কেহ মহারাজ কৃষ্ণ মাণিক্যকে নূতন সিংহাসনের নিৰ্ম্মাত৷ বলিয়া নির্দেশ করিয়া থাকেন। কিন্তু বিশিষ্ট প্রমাণ ব্যতীত ইহা স্বীকার কবা যাইতে পারে না। ত্রিপুরেশ্বরগণ রাষ্ট্রবিপ্লবে বিধ্বস্ত হইয়া সময় সময় রাজপাট পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হইয়া থাকিলেও, সিংহাসন এবং চতুর্দশ দেবতা কোন কালেই পরিত্যাগ করেন নাই ; তাহা সৰ্ব্বদাই সঙ্গে রাখিতেন, এবং তাহা অসম্ভব হইলে বিশ্বস্ত পার্বত্য প্রজার আলয়ে গচ্ছিত রাখিতেন। কোন কোন সময় সিংহাসন, নিভৃত গিরি নিঝরিণীতে নিমজ্জিত করিয়া রাখিবার কথাও শুনা যায়। এই কারণে সমসের গাজী উদয়পুরের রাজধানী অধিকার করিয়াও সিংহাসন না পাওয়ায়, পার্বত্যজাতি দিগকে বাধা করিবার উদ্দেশ্যে বাশের সিংহাসন নিৰ্ম্মাণ করাষ্টয়া গদাধর ঠাকুরের পুত্র এবং মহারাজ ধৰ্ম্মমাণিক্যের পৌত্র লবঙ্গ ঠাকুর নামক ব্যক্তিকে লক্ষণ মাণিক্য আখ্যা প্রদান পূর্বক সেই সিংহাসনে স্থাপন করিযাছিলেন । এতদ্বার প্রাচীন সিংহাসন বিনষ্ট এবং নুতন সিংহাসন নিৰ্ম্মিত হইবাব কল্পনা কৰা যাইতে পারে, কিন্তু প্রকৃষ্ট প্রমাণাভাবে তাহ বিচাব-সহ কিনা, বিবেচনাৰ বিষয। সম্রাট যুধিষ্ঠির রাজসূয় যজ্ঞকালে ত্রিপুৰেশ্বরকে বর্তমান সিংহাসন প্রদান করিয়াছিলেন, এবং ইহা রাজচক্ৰবৰ্ত্তীর সিংহাসন, ত্রিপুরবাঞ্জে এই সুদৃঢ় প্রবাদ প্রচলিত আছে। সিংহাসন সম্মুখে প্রতিদিন চণ্ডী পাঠ এবং যথানিয়মে উক্ত আসনের অর্চন হয় । তৎসহ কতিপয় শালগ্রাম চক্রও আর্চিত হইয়া থাকেন । সিংহাসনের ন্যায় প্রথমোক্ত পাঁচটী চিহ্ল (চন্দ্ৰবাণ, ত্রিশূলবাণ, মান-মানব, শ্বেতছত্ৰ । ও আরঙ্গা ) প্রতিদিন অন্ন ব্যঞ্জনাদির ভোগ দ্বারা অর্চিত হইয়া থাকে। দুর্গোৎসব, খার্চিপূজা, কের পূজা এবং গঙ্গাপূজা প্রভৃতি পর্বোপলক্ষে দুইটা করিয়া পাঠা বলি দ্বারা অর্চনা করা হয় । , বিজয় দশমীতে প্রশস্তি বন্ধনকালে ত্রিপুরেশ্বর সিংহাসনে আরোহণ করেন। তৎকালে সকলেই রাজদর্শন এবং যথাযোগ্য আশীৰ্ব্বাদ ও অভিবাদন করিয়া থাকে। এতদ্ব্যতীত আরও কতিপয় রাজচিন্তু আছে, তন্মধ্যে গাওল (বৃহদাকারের শ্বেত পতাকা), শ্বেত চামর এবং ময়ূরপুচ্ছের নাম উল্লেখযোগ্য। শ্বেতছত্রের র্যায় শ্বেত পতাকা ও শ্বেত চামর চন্দ্রবংশীয় রাজগণের রাজচিন্তু মধ্যে স্থান পাইবার কথা মহাভারত,বনপর্বের ২৫১ অধ্যায়ে উল্লেখ আছে,তাহাইতিপূর্বে উদ্ধত করা গিয়াছে। ময়ূরপুচ্ছও চন্দ্রবংশের প্রাচীন রাজচিন্তুরূপে ব্যবহৃত হইয়া আসিতেছে। রাজা नि१शं नएनब्र बर्फ़नां বিধি ।