পাতা:শ্রীরাজমালা (প্রথম লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રડાઝ রাজমালা [ প্রথম হালোচনায় জানা যাইবে, মোক্ষদায়িক সপ্ত-তীর্থের মধ্যে অযোধ্যাও একটা। এইস্থান মোক্ষ প্রদায়িনী বলিয়াই রাজমালায় ইহার নামোল্লেখ হইয়াছে। আগরতলা ;–(৬২ পৃঃ—১৪ পংক্তি)। এই নগরী ত্রিপুরার বর্তমান রাজধানী। হাওড়া নদীর তীরে এ, বি, রেলওয়ের আখাউড়া ষ্টেশন হইতে পূর্ব দিকে তিন ক্রোশ দূরে অবস্থিত। ‘আগরতলা’ নাম সম্বন্ধে নানাবিধ মত প্রচলিত আছে। কেহ বলে, এখানে বিস্তর আগর ( অগুরু ) বৃক্ষ ছিল বলিয়া স্থানের নাম ‘আগরতলা’ হইয়াছে । কাহারও কাহারও মতে আগর মাহামুদ নামক জনৈক মুসলমানের নামানুসারে এই স্থানের নাম ‘আগরতলা’ হইয়াছিল। রাজমালা আলোচনায় জানা যায়, মহারাজ ডাঙ্গর ফা স্বীয় সপ্তদশ পুত্রের মধ্যে রাজ্য বিভক্ত করিবার সময় আগর ফা নামক পুত্রকে এই স্থান প্রদান করিয়াছিলেন ৪ অনেকের মতে, আগরফাএর নামামুসারে এইস্থান আগরতুল নামে আখ্যাত হইয়াছে। আমরা শেষোক্ত মতই অধিকতর সমর্থন যোগ্য বলিয়। মনে করি । আগরতলা পুরাতন হাবেল ও নূতন হবেলা, এই দুই ভাগে বিভক্ত। নুতন হালের পূর্বদিকে দুইক্রোশ দূরে পুরাতন হাবেল অবস্থিত। মহারাজ কৃষ্ণকিশোর মাণিক্য বাহাম্বরের শাসনকালে নূতনহবেণীতে রাজপাট স্বানান্তরিত করিবার সূত্রপাত হয় ; এবং তাহার পরবর্তীকালে ক্রমশঃ নূতনহাবেলীই রাজধানীতে পরিণত হইয়াছে। বর্তমানকালে পুরাতন হবেলাতে চতুর্দশ দেবতা প্রতিষ্ঠিত আছেন এবং রাজপরিৰারস্থ কতিপয় ব্যক্তি তথায় বাস করিতেছেন। আগরফএর সময়ে আগরতলায় রাজবাড়ী নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল কি না, তদ্ধিৰয়ে * নির্ভর যোগ্য কোনও প্রমাণ পাওয়া যায় না । বাড়ী নিৰ্ম্মিত হইয়া থাকিলেও তৎকালে আগরতলার ভাগ্যে রাজধানীর প্রতিষ্ঠান জনিত গৌরব অধিককাল ঘটিঃাছিল না । মহারাজ ডাঙ্গরফ পুত্ৰগণের মধ্যে রাজ্য বিভাগ করিয়া দেওয়ার অল্পকাল পরেই, তদীয় কনিষ্ঠ পুত্র রত্নমাণিক্য পিতাকে সিংহাসনচু্যত ও ভ্রাতাদিগকে অবরুদ্ধ করিয়া, সমস্ত রাজ্যে অধিকার পিস্তার করিয়াছিলেন । এবং র্তাহার রাজধানী উদয়পুরেই ছিল। অতঃপর মহারাজ কৃষ্ণ মাণিক্য আগরতলার রাজপাট সংস্থাপন করিয়াছিলেন ; কৃষ্ণমালা’ গ্রন্থে এ বিষয়ের উল্লেখ পাও । ৰায়, "তারপরে রাজ গেল আগরতলায়। বসতি কারণে পুৰী বলি ওখায়।” • “লাগয় । পুত্রে রাজা আগরতল দি r = छlनब्र क। १०, “७yशृङ्गै।